Advertisement

ক্ষমা চাইছি, জানি না কখন চলে যাব : সোহেল রানা

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। এখন আর নিয়মিত পর্দায় আসেন না তিনি। বার্ধক্যের কারণে বেশিরভাগ সময় কাটছে বাসাতেই। তবুও চলচ্চিত্রের প্রতি গভীর টান, সহকর্মীদের জন্য মমতা আর দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা এখনও সমানভাবে অনুভব করেন এই নায়ক।

গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএফডিসিতে প্রয়াত চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সোহেল রানা। নতুন ও পুরোনো শিল্পীদের ভিড়ে তিনি সেখানে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

এদিন তার কথায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে জীবনের নানা উপলব্ধি। বিনীতভাবে বললেন, ‘আমি ভুল করেছি, ভুল অনেক করেছি। তাই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। যেন মৃত্যুর পর মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নীতি ও আদর্শ নিয়ে দাঁড়াতে পারি।’

আরও পড়ুন

এই অভিনেতা বলেন, ‘কে কখন চলে যাব, শিওর না। তাই এই সুযোগে আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন, আমি যদি কারও প্রতি কোনো অন্যায় বা ভুল করে থাকি, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ আমি জানি না, কবে চলে যাব। ’

সোহেল রানার পারিবারিক নাম মাসুদ পারভেজ। নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের পর তিনি সোহেল রানা নামেই ব্যাপক পরিচিতি পান। তবে প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে, মাসুদ পারভেজ নামেই।

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। এরপর ১৯৭৩ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। একই সিনেমার মাধ্যমে মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয়ে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে পান আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ডিএ

Lading . . .