প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপাল সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ করে তরুণরা। সেই বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। আহত হন আরও অনেকে।
এরপর থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডু ও বড় শহরগুলোতে কারফিউ জারি রয়েছে, যা ফ্লাইট চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।ফলে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রুটের বিমান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিমানের কাঠমান্ডুগামী একটি ফ্লাইট ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কাছাকাছি গিয়েও ফিরে এসেছে। বিমানের আরেকটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের ফেরার কথা ছিল। তারাও সেখানে আটকা পড়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবি এম রওশন কবীর জানান, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিজি ৩৭১ ফ্লাইট নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যায়। কিন্তু বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় কাছাকাছি গিয়েও ১১৪ যাত্রী নিয়ে বিমানটিকে ফিরে আসতে হয়েছে। বর্তমানে কাঠমান্ডু থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফেরার ফ্লাইটটি ছিল বিমানের। বাফুফে জানিয়েছে, জামাল ভূঁইয়াদের দলটি আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৩৭২ ফ্লাইটে ৯৬ জন দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তারা হোটেলেই আটকে আছেন।
জাতীয় দলের আমের খান বলেন, ‘কাঠমান্ডুর অবস্থা খারাপ। আমরা হোটেলেই আছি। ফেরার ব্যাপারে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।’
ফ্লাইট বাতিল হওয়ার, উভয় যাত্রীদের বিমানের ব্যবস্থায় হোটেলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাজধানীর কোটেশ্বর এলাকার কাছে ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর সতর্কতা জারি করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক হংস রাজ পান্ডে বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ হয়নি, আমরা এটিকে বন্ধও করব না।’ তবে সব ধরনের সতর্কতা মেনে কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছে।
ফ্লাইট বাতিলের কারণে যাত্রী ও বিমানকর্মীদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। অনেকেই বিমানবন্দরে আটকে আছেন, আবার কেউ কেউ হোটেলে অবস্থান করছেন। অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থা বুদ্ধা এয়ার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। রানওয়েতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের হতাশা ও ক্ষোভে ভরা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।