Advertisement

কোরিয়ার বিপক্ষে বড় হার, কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ

নয়াদিগন্ত

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

কোরিয়ার বিপক্ষে বড় হার, কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |সংগৃহীত
কোরিয়ার বিপক্ষে বড় হার, কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়া তো বটেই, বিশ্ব ফুটবলেরই অন্যতম শক্তিধর দল। সেই কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে টাইগ্রেসরা লড়াই করে সমান তালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, বড় হারের লজ্জায় ডুবেছে আফিদারা।

রোববার (১০ আগস্ট) অনুর্ধ্ব ২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তবে টাইগ্রেসরা ম্যাচটা হেরে গেছে ৬-১ গোলের ব্যবধানে।

অথচ প্রথমার্ধ শেষে ইতিহাস গড়ার আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। দাঁড়িয়ে ছিল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার দোরগোড়ায়। তার জন্য আজ কেবল হার এড়ালেই হতো। ড্র হলেও অপেক্ষা ফুরাতো।

যদিও নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলকে আনন্দের উপলক্ষ্যটা এনে দেন তৃষ্ণা রানী। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে টাইগ্রেসরা।

শান্তি মার্ডির বাড়ানো বল বক্সের বাইরে পেয়ে প্রতিপক্ষের বিপদসীমায় ঢোকেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।তার শট দক্ষিণ কোরিয়া গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।

ফলে ফিরতি সুযোগটা পেয়ে যান তৃষ্ণা। অপ্রস্তুত গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে তার কোনো সমস্যাই হয়নি। বলটা তিনি জড়িয়ে দেন জালে। তবে আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

সে গোল কোরিয়ানরা শোধ করেছে ম্যাচের ১৯ মিনিটে। বাম পাশ থেকে ভেসে আসা ক্রস ঠেকাতে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী। তাকে ফাঁকি দিয়ে গোলটা করেন লি হায়ুন।

এরপর দুই দলই গোলের চেষ্টা করেছে বটে। তবে গোলের দেখা আর পায়নি। শেষদিকে শিখার দূরপাল্লার শট সহজেই ধরে ফেলেন কোরিয়ার গোলরক্ষক। ফলে প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় থেকে শেষ হয়।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে সব কিছু বদলে যায়। শারীরিক দিক থেকে এগিয়ে থাকা কোরিয়ার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। একের পর গোল করে চাপে ফেলে দেয় টাইগ্রেসদের। যেখান থেকে আর বের হয়ে আসা হয়নি।

বিরতির পর ম্যাচের ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চো ইয়ং দলকে এগিয়ে দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এগিয়ে তখন ২-১ গোলে। ফলে চাপে পড়ে যায় টাইগ্রেসরা।

তবে সেখানে দুর্দশার শুরু মাত্র। ৬০ মিনিটে আবারো জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান বাড়ান কোরিয়ার অধিনায়ক চো ইয়ং। এরপর ৮৬ মিনিটে ৪-১, ৯০ মিনিটে ৫-১ ও যোগ করা সময়ে স্কোর হয় ৬-১।

তাতে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আর তাতে অপেক্ষা বাড়ল টাইগ্রেসদের। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিশ্চিত হয়নি আফিদাদের।

মূলত এএফসি অ-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে ৩২ দল আট গ্রুপে খেলছে। আট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স আপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। ফলে রানার্স আপ টাইগ্রেসদের এখনো কাগজে কলমে সম্ভাবনা আছে।

তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে গ্রুপপর্বের বাকি দলগুলোর ম্যাচের ফলাফলের জন্য।

আরও পড়ুন

Lading . . .