Advertisement

‘পেলে’কে চিরবিদায় জানাল উয়েফা, আসল কারণটা জানতে চাইলেন সালাহ

যুগান্তর

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

দিনকয়েক আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ফিলিস্তিনি পেলে হিসেবে পরিচিত সুলাইমান আল ওবেইদ। তার অকালপ্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছে উয়েফা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিরবিদায়ও জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে সেই পোস্টটি ঠিক মনে ধরেনি লিভারপুলের তারকা ফুটবলার মোহামেদ সালাহর। তিনি উয়েফাকে রীতিমতো একটা খোঁচাই দিয়ে বসেছেন এরপর।

সুলাইমান আল-ওবেইদ তার নাম। তবে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ হিসেবে। গেল সপ্তাহে ইসরাইলের হামলায় খুন হয়েছেন তিনি। এরপর তিনি চলে আসেন আলোচনায়।

৪১ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলায় তিনি নিহত হন।

উয়েফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে তাকে ‘একজন প্রতিভা, যিনি অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দিয়েছেন’ বলে উল্লেখ করে। মনে হচ্ছিল যেন খুব স্বাভাবিক এক মৃত্যু হয়েছে তার।

মোহামেদ সালাহ খোঁচাটা দিয়েছেন সেখানেই। সে পোস্টটা রিপোস্ট করে এর জবাবে সালাহ লেখেন, ‘আপনারা কি বলতে পারেন তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’

উয়েফার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সালাহর এই পোস্টটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ লাখের বেশি লাইক পড়েছে পোস্টটিতে, আড়াই লাখের বেশি ব্যবহারকারী রিপোস্ট করেছেন তার সে পোস্ট, ২০ হাজারের বেশি মন্তব্য পড়েছে পোস্টটিতে।

মিশরের ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার এর আগেও গাজার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের ফেসবুকে উয়েফা সভাপতি আলেকসান্ডার সেফেরিনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ‘কঠিন সময়ের মধ্যেও মানুষের হৃদয়ে যে আনন্দ ফুটে উঠতে পারে, তার প্রমাণ তিনি। তিনি গাজার শিশুদের জন্য তার প্রতিভা ও নিষ্ঠা দিয়েছেন। তাদের স্বপ্নকে ফুটিয়ে তোলার আশা দিয়েছেন। তার মৃত্যু ফুটবল জগতের জন্য এবং যারা খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষকে এক করার শক্তি বোঝেন, তাদের জন্য এক বিশাল ক্ষতি।’

ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি ফুটবল পরিবারের অন্তত ৩২৫ জন খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, রেফারি ও ক্লাব বোর্ড সদস্য নিহত হয়েছেন।

Lading . . .