Advertisement

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকেও যেন তৃষ্ণা মিটল না

যুগান্তর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

মেয়েদের সিনিয়র ফুটবল র‌্যাংকিংয়ে রেকর্ড ২৪ ধাপ এগোনোর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বাংলাদেশ পেল আরেকটি মোহনীয় জয়। যদিও এই জয় এসেছে এএফসি মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে। ৮-০ গোলে লাল-সবুজ ফুটবলকন্যারা উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ব তিমুরকে। তৃষ্ণা রানীর হ্যাটট্রিক-ম্যাজিকে আফঈদা খন্দকাররা পেয়েছেন এই বড়সড় জয়। একটি করে গোল সিনহা জাহান শিখা, শান্তি মার্ডি, নবীরণ খাতুন, মুনকি আক্তার ও মোসাম্মৎ সাগরিকার। বাংলাদেশের প্রথম তিনটি গোল হয় কর্নার কিক থেকে। এর মধ্যে ‘অলিম্পিক গোল’ করেন শান্তি মার্ডি। অলিম্পিক গোল হচ্ছে কর্নার কিকে বল অন্য কোনো খেলোয়াড় টাচ না করে সরাসরি জালে জড়ানো।

২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়া পূর্ব তিমুরের আরেক নাম তিমুর-লেস্তে। পর্তুগালের সাবেক উপনিবেশ পূর্ব তিমুর উন্নতমানের অর্গানিক কফি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।

ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা যে মধুর জয়ের অপূর্ব স্বাদ পেয়েছেন, সেটি তাদের কফিকেও হার মানাবে। আট দলের এই টুর্নামেন্টের তিনটি সেরা রানার্সআপের একটি হওয়ার লড়াইয়ে মরিয়া চেষ্টা চালানো বাংলাদেশ রোববার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফেভারিট দক্ষিণ কোরিয়ার। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে হারিয়েছে ৯-০ গোলে। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে জয়ী হয় স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে।

সাফ অ-২০ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন শান্তি। এএফসির আসরেও আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ম্যাচের ২০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে স্বপ্না রানীর কর্নারে সিনহা জাহান হেডে বল জালে জড়ান (১-০)। ৩২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোলটি করেন শান্তি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেওয়া কর্নার কিক সরাসরি জালে জড়ায় (২-০)। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউ বল স্পর্শ করতে পারেননি। গোলকিপার হালিনা মার্চি বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে জালে প্রবেশ করে।

মিনিটতিনেক পর বাংলাদেশ আবার কর্নার এবং আবার গোল পায়। এবার গোলের জোগানদাতা শান্তি। তার নেওয়া কর্নার কিকে বক্সের মধ্যে নবীরণ খাতুন হেডে গোল করেন (৩-০)। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্নার থেকে করে। বাঁ প্রান্তে স্বপ্না আর ডান প্রান্তের কর্নার কিক শান্তি নিয়েছেন। বাংলাদেশ এই পরিকল্পনায় তিন গোল আদায় করেছে। বিরতিতে যাওয়ার আগে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে তৃষ্ণা বক্সের মধ্যে প্লেসিংয়ে গোল করেন (৪-০)। বিরতি থেকে ফিরেও চেনা রূপে বাংলাদেশ। তিমুরের বিপৎসীমানায় জটলা থেকে গোল করেন তৃষ্ণা রানী (৫-০)। ৭৩ মিনিটে গোল করেন সাগরিকা (৬-০)। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো কুলিং ব্রেক দেওয়া হয়। ৮৩ মিনিটে বারের বাঁ প্রান্ত দিয়ে সাগরিকার কাছ থেকে বল পেয়ে বল জালে জড়ান তৃষ্ণা রানী (৭-০)। ম্যাচের অন্তিমসময়ে মুনকি আক্তারের গোলে ব্যবধান ৮-০ করে বাংলাদেশ। শেষে এই ব্যবধানে পূর্ব তিমুরকে বিধ্বস্ত করে মাঠ ছাড়ে আফঈদা খন্দকার-বাহিনী।

আরও পড়ুন

Lading . . .