Advertisement

বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে কেউ জেতেনি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টার রাকিব হোসেনবাফুফে
বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টার রাকিব হোসেনবাফুফে

বল দখলে দুই দলই সমানে সমান। সমান শট লক্ষ্যে রাখায়ও। ম্যাচটা শেষও হয়েছে সমতাতেই। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।

এ নিয়ে নেপালের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ জয়হীন থাকল বাংলাদেশ। যার মধ্যে আজকেরটিসহ চারটিই ড্র।

জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের তিন মাস পর আজকের খেলা দিয়েই আবার মাঠে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচের হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমরা এবার দলের সঙ্গে যোগ দেননি। ফাহামিদুল ইসলাম, শেখ মোরছালিনরা আছেন অনূর্ধ্ব–২৩ দলের সঙ্গে ভিয়েতনাম সফরে।

এ ছাড়া দলে থাকলেও চোটের কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান গোলকিপার মিতুল মারমা। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্বটা দিয়েছেন সুজন হোসেনকে। মোহামেডানের এই গোলকিপারকে অবশ্য বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ হলেও ম্যাচে গোলের প্রবল সম্ভাবনা জেগেছে কমই।

এর মধ্যে ম্যাচের নবম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ক্রসে তপু বর্মণের হেড রুখে দেন নেপাল গোলকিপার কিরন চেমজং। ৩০তম মিনিটে নেপালের অনন্ত তামাংয়ের ব্যাক হেড পোস্টে ঢোকার আগমুহূর্তে প্রতিহত করেন বাংলাদেশের সুজন। ৩৯তম মিনিটে একটি সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইন নেপাল গোলকিপার আটকে দিলেও বিপদ মুক্ত করতে পারেননি। বল পেয়ে যাওয়া সুমন রেজা তাড়াহুড়া করতে গিয়ে মেরে দেন ক্রস বারের ওপর দিয়ে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই ধারা। বরং আক্রমণের ধার এ সময় দুই দলেরই কমেছে। এর মধ্যে ৭৬তম মিনিটে বদলি নামা তাজ উদ্দিনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরাল গতির শট সরাসরি নেপাল গোলকিপারের হাতে যায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সমাপ্তি হয়েছে গোলশূন্য স্কোরলাইনেই।

এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ (২ হার, ৪ ড্র) নেপালের বিপক্ষে জয়হীন থাকল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ দল নেপালকে হারিয়েছিল।

৯ সেপ্টেম্বর একই মাঠে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ–নেপাল।

Lading . . .