Advertisement

আর্জেন্টাইন দলে নেইমারের সঙ্গে খেলতে চান দি মারিয়া

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার আনহেল দি মারিয়া ইউরোপীয় ক্যারিয়ার শেষ করে এখন মাঠ কাঁপাচ্ছেন নিজ দেশে। খেলছেন শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে। একের পর এক অবিশ্বাস্য গোল করে সেখানেও শিরোনামে চলে আসছেন তিনি।

তবে তার আগে দি মারিয়া একটা বড় সময় খেলেছেন ইউরোপে। সেখানে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের মতো তারকারা ছিলেন তার সতীর্থ। জাতীয় দলে তিনি মেসির সঙ্গে মিলে জিতেছেন চারটি শিরোপা।

তাকে এবার এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, ক্লাসিকোতে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে ম্যাচে নিজ দলে যদি এক বিশ্ব তারকাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে কাকে নিতেন? অনেকেই ভেবেছিলেন লিওনেল মেসির নাম আসবে। কিন্তু দি মারিয়ার উত্তর সবাইকে চমকে দিলো— ‘নেইমার।’

দি মারিয়া বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক ঘনিষ্ঠ। আমরা এখনও কথা বলি। আমি জানি ও আর্জেন্টাইন ফুটবল খুব ভালোবাসে, আর নিউওয়েলস-সেন্ট্রাল ক্লাসিকোয় খেলতে ওর খুব ভালো লাগত। ভবিষ্যতে হয়তো আমিই নেইমারকে আমন্ত্রণ জানাব। সেটি বিশেষ কিছু হবে।’

মেসিকে না ডাকার অবশ্য আরও একটা কারণ আছে। মেসি আবার দি মারিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ফুটবলার ছিলেন। সে বিষয়টাকে সম্মান জানিয়েও হয়তো তিনি তাকে রোজারিও সেন্ট্রালে চাননি।

এদিকে দি মারিয়া ও নেইমারের বন্ধুত্বের গল্প শুরু পিএসজি থেকে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই দুই দক্ষিণ আমেরিকান তারকা একসঙ্গে খেলেছেন ক্লাবটিতে। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ইউরোপের অন্যতম ভয়ংকর আক্রমণভাগ। ২০১৯-২০ মৌসুমে তো তারা প্রায় চ্যাম্পিয়নস লিগই জিতে ফেলেছিলেন। লিসবনে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে লাইপজিগের বিপক্ষে গোল করে ও দুটো অ্যাসিস্ট দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন দি মারিয়া, যার একটি ছিল নেইমারের জন্য।

মাঠের বাইরেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল দারুণ। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস প্রায়ই নেইমারের সঙ্গে মজা করে ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালের কথা তুলতেন, যেখানে মারাকানায় আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে হারিয়েছিল। ২০২২ সালে পিএসজিকে বিদায় জানানোর সময় নেইমার গোল উৎসর্গ করেছিলেন দি মারিয়াকে। তাতেই বুঝা গিয়েছিল, তাদের সম্পর্কটা ছিল কতটা গভীর।

Lading . . .