জঙ্গলে ফুল আনতে গিয়ে নিখোঁজ, তিন দিন পর ডোবা থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে ফুল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রী। নিখোঁজের তিন দিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নের ভালকাকুড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাইমুনা আক্তার (১৩) ওই গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে এবং কালাপাগলা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও নিহত কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে সহপাঠীদের সঙ্গে পুতুল খেলার সময় পুতুলের জন্মদিন উপলক্ষে ফুল আনতে বাড়ির পাশের জঙ্গলে যায় মাইমুনা। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত রোববার নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গতকাল বিকেলে বাড়ির কাছাকাছি একটি ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। পরে কচুরিপানার ভেতর থেকে মাইমুনার মরদেহ দেখতে পান তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানান, মাইমুনার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
মাইমুনার বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মাইমুনা মাটি দিয়ে পুতুল তৈরি করে উঠানে খেলছিল। পুতুলের জন্মদিনের জন্য সে ফুল আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তিন দিন পরে ডোবাব কচুরিপানার নিচে আমার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। আমার মেয়ের কী অপরাধ করছিল যে এমনে কইরা মাইরা ফালাইন লাগব! আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।