Advertisement

প্রশাসনের সঙ্গে আবার শিক্ষার্থীদের আলোচনা, দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রিসহ ছয়টি প্রস্তাবনার বিষয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কক্ষে আলোচনায় আন্দোলনকারীরাছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রিসহ ছয়টি প্রস্তাবনার বিষয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কক্ষে আলোচনায় আন্দোলনকারীরাছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনের কারণে ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এতে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অন্য চার অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটের নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষাও স্থবির হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি নিরসনে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এসব অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। তাঁরা দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা চালুর আবেদন জানান।

অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কক্ষে তৃতীয় দফায় আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোনিয়া সেহেলী, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদসহ উপস্থিত শিক্ষকদের সামনে ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তাঁরা।

কৃষি, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, মাৎস্যবিজ্ঞান, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নিজেদের পড়াশোনা ও পরীক্ষার কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে আছে। করোনার দীর্ঘ বিরতি ও জুলাই আন্দোলনের কারণে তাঁরা ইতিমধ্যে পিছিয়ে পড়েছেন। তাঁরা দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার অনুরোধ জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, সহকারী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ এবং এসব অনুষদের ডিন।

উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নিয়েছি। এখানে আর কোনো আন্দোলনের যুক্তি বা সুযোগ নেই। আমরা আজ তাঁদের (আন্দোলনকারীদের) কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানব। তাঁরা যদি বোঝেন তাহলে ভালো। না বুঝলে এটা আমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে এবং বেআইনি কাজ করা হবে। আমরা অনেক সহ্য করেছি এবং করে যাব। কারণ, তাঁরা আমাদের ছেলে-মেয়ে। আমরা চাই না আমাদের ছেলে–মেয়েদের কারোর কোনো ক্ষতি হোক।’

ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মঈন ইসলাম বলেন, আলোচনা চলাকালে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কাছে ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকেরা আমাদের আজ রাতের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু সমাধান দেবেন।’

এ বিষয়ে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, ‘ছয়টি প্রস্তাবনার বিষয়ে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আজকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করব।’

Lading . . .