মুক্তাগাছায় পিটুনিতে আহত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু, ছাত্রদল থেকে তিনজন বহিষ্কার
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পিটুনিতে আহত এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মো. ফাহিম (৩০) নামের ওই ব্যক্তির হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে ফাহিমকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও দুই কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. সজীব হাসান এবং দুই কর্মী আবির ও মারুফ। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মনজুরুল হক (আরিফ) ও সদস্যসচিব আসাদ ফরাজী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই তিনজনকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বোর্ড ঘর মোড় এলাকার বাসিন্দা মজনু মিয়ার ছেলে ইয়াছিনের কাছে পার্শ্ববর্তী আলগীর চর গ্রামের মুদিদোকানদার রাসেল ৩৫০ টাকা বাকি পেতেন। এ নিয়ে মজনু মিয়া ও তাঁর ছেলে ইয়াছিনের সঙ্গে রাসেলের কথা–কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে গত সোমবার দুপুরে দোকানদার রাসেলের পক্ষ হয়ে মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজীব মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল মানকোন বোর্ডঘর মোড়ে জড়ো হন। সেখানে মজনু মিয়া, তাঁর ছেলে ইয়াছিন, ভাতিজা অটোরিকশাচালক ফাহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। পরে ছাত্রদল নেতা সজীব ও তাঁর সঙ্গীরা মজনু মিয়া, ইয়াছিন ও ফাহিমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফাহিমসহ অন্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে ফাহিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ফাহিমের মা রুবি আক্তার মুক্তাগাছা থানায় সজীব মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোবারক হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজীব ও তার লোকজন অটোরিকশাচালক ফাহিমকে স্থানীয় স মিলের কাঠ দিয়ে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমরা এগিয়ে গেলে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সবাই পলাতক। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।