Advertisement

গ্রহণযোগ্যতাই এই পুরস্কারকে আলাদা করে দিয়েছে

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

আগামী ৯ আগস্ট সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে লিখেছেন প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পাওয়া সাবেক ক্রীড়াবিদ বশীর আহমেদ

বছরের যে দিনটির জন্য আমি বা আমরা অনেকেই অপেক্ষায় থাকি, সেটা প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের দিন। এই ৮৪-৮৫ বছর বয়সে এসে কখনো সিএমএইচের বিছানায়, কখনো আমার মেয়ের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় শুয়ে সেই দিনগুলোর কথা ভাবি।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক পুরস্কারের মধ্যে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার আমার কাছে যে কারণে আলাদা মনে হয়, সেটা হচ্ছে এর গ্রহণযোগ্যতা। এর আয়োজনও অন্য রকম। শুধু ক্রীড়াবিদই নয়, ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে নানা ভূমিকায় জড়িয়ে থাকা সবাইকে নিয়ে যেন এক আত্মীয়-পরিবারের মিলনমেলা হয়ে ওঠে এই অনুষ্ঠান। পুরো আয়োজনে থাকে এক আনন্দময় উৎসবের আবহ।

প্রথম আলো যেভাবে বছরের পর বছর ধরে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানিয়ে আসছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এই পুরস্কার দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের কাছেও অনুপ্রেরণার এক দারুণ উৎস, তাদের আরও ভালো খেলার জন্য উৎসাহিত করে।

এই পুরস্কারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একেবারে শুরু থেকে। ২০০৪ সালে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার চালু হওয়ার পর টানা তিন বছর, ২০০৪ থেকে ২০০৬—আমি জুরিবোর্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। মনে আছে, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান যখন বলেছিলেন, ‘বশীর ভাই, আপনাকে ক্রীড়া পুরস্কারের জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান হতে হবে’, আমি শুনে শর্ত দিয়েছিলাম, হতে পারি, তবে জুরিবোর্ডে যা আলোচনা হবে, সেটা মিটিং রুমের বাইরে যাবে না। সেটাই হয়েছিল। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিতে চাই, জুরিবোর্ডের কাজের স্বাধীনতায় তারা কখনো হস্তক্ষেপ করেনি।

প্রতিবছরই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আমি এই আয়োজনে অংশ নিয়ে এসেছি। ২০০৮ সালে প্রথম আলো আমাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করে, সেটা ছিল আমার জীবনের এক বড় প্রাপ্তি, দারুণ সুখস্মৃতি। এ জন্য প্রথম আলোকে আমি হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই।

লেখক: সাবেক ক্রীড়াবিদ

Lading . . .