Advertisement

মহাকাশে রহস্যময় বস্তুর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মহাকাশফাইল ছবি: নাসা
মহাকাশফাইল ছবি: নাসা

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা গভীর মহাকাশের ছবি বিশ্লেষণ করে ৩০০টি রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ছায়াপথের মতো বস্তুগুলো বিগ ব্যাংয়ের পরপরই তৈরি হতে পারে। বস্তুগুলো অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রথম দিকের নতুন তথ্য জানা যেতে পারে।

ছায়াপথ বা ছায়াপথের মতো বস্তুগুলো প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরের বেশি আগে তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের উন্নত ইনফ্রারেড ইমেজিং ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা রহস্যময় বস্তুগুলোর আলোর ক্ষীণ ও দূরবর্তী উৎস শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। অন্য কোনো টেলিস্কোপ এসব বস্তুর তথ্য ধারণ করতে পারেনি। মহাজাগতিক ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়ে ছায়াপথের বৃদ্ধির হার ধীরগতির ছিল বলে মনে করা হয়। নতুন এই আবিষ্কার এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে।

নতুন ৩০০টি অদ্ভুত বস্তু বা ছায়াপথকে আলাদা করার জন্য বিজ্ঞানীরা ড্রপআউট পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। আলোর নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছায়াপথের অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ও জ্বলজ্বল করার ওপর নির্ভর করে এই পদ্ধতি কাজ করে। এই পরিবর্তন ঘটে কারণ মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের কারণে ছায়াপথের আলো কোটি কোটি বছর ধরে প্রসারিত হয়েছে। একে রেডশিফট বলা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক মহাবিশ্বের সম্ভাব্য ছায়াপথ শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। এই পদ্ধতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সম্ভাব্য প্রাথমিক ছায়াপথের তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তারা ও ছায়াপথ কখন ও কীভাবে তৈরি হয়েছিল, সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Lading . . .