Advertisement

প্রেমের জন্য নাসা থেকে চন্দ্রপাথর চুরি করেন এক শিক্ষানবিশ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

চাঁদের পাথরছবি: রয়টার্স
চাঁদের পাথরছবি: রয়টার্স

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইতিহাসের দুঃসাহসী ও অদ্ভুত এক চুরির ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। নাসায় কর্মরত ২৪ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ থাড রবার্টস ২০০২ সালে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের চাঁদের পাথর চুরি করেন। কোনো লোভ থেকে নয়, শুধু প্রেমের কারণেই নাকি সেই চুরি করেন।

রবার্টসের বান্ধবী টিফানি ফাউলার ও সহকর্মী শিক্ষানবিশ শে সৌরের সঙ্গে মিলে এ ঘটনা ঘটান। রবার্টস যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টার থেকে চুরি করেন। নাসার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সুরক্ষিত ক্যামেরা ও অ্যালার্ম বাইপাসে বিশেষ স্যুট ব্যবহার করেন। ১৭ পাউন্ড চন্দ্র নমুনা চুরি করেন রবার্টস। সেখানে ১৯৬৯–১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনের ঐতিহাসিক চাঁদের পাথরও ছিল। রবার্টস ধরা পড়ার পরে চুরির বিষয়টিকে ভালোবাসার জন্য করেছেন বলে জানান। যদিও এফবিআইয়ের ধারণা ছিল, রবার্টস গোপনে অনলাইনে পাথর বিক্রি করার চেষ্টা করেছেন।

২০০২ সালের জুলাইয়ের এক রাতে রবার্টস, ফাউলার ও সৌর জনসন স্পেস সেন্টারের ৩১ নম্বর ভবনে অনুপ্রবেশ করেন। রবার্টস ও ফাউলার নিওপ্রিন বডিস্যুট পরেন, যেন শরীরের তাপ কোনো সেন্সরে ধরা না পড়ে। সৌর একজন পাহারাদার হিসেবে কাজ করেন। একটি পাওয়ার করাত ব্যবহার করে তাঁরা ৬০১ পাউন্ড ওজনের একটি সেফ খুলে ফেলেন। সেখানে থাকা চাঁদের শিলা ও উল্কাপিণ্ড চুরি করেন তাঁরা। চুরি যাওয়া চন্দ্র নমুনার মূল্য ছিল প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ডলার।

থাড রবার্টস ইউটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা, ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যায় ট্রিপল ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তাঁর সঙ্গে ২২ বছর বয়সী স্টেম সেল গবেষক টিফানি ফাউলারের পরিচয় হয়। রবার্টস ফাউলারকে বলেছিলেন, তাঁকে চাঁদ এনে দিতে চান।

রবার্টস চুরির বিষয়টিকে প্রেমের বলে দাবি করেন। এফবিআই পরে বেলজিয়ান এক ক্রেতার সঙ্গে রবার্টসের সংযোগ খুঁজে পান। সেই বেলজিয়ান ক্রেতা নাকি ১ গ্রাম পাথর পাঁচ হাজার ডলার হিসেবে দিতে রাজি ছিলেন। রবার্টস ও ফাউলার সেই সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে অরল্যান্ডো যান। সেখানে এফবিআই তাঁদের আটক করে। তদন্তে পুরো চুরির বিষয়টি জানা যায়। থাড রবার্টস চাঁদের পাথর ও অন্যান্য নাসার নিদর্শন চুরির জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। টিফানি ফাউলার ও সৌরকে গৃহবন্দী রাখা হয়। তাঁরা নাসাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Lading . . .