Advertisement

মহাকাশে পাঠানো হলো রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া, কেন

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

ব্যাকটেরিয়াপেক্সেলস
ব্যাকটেরিয়াপেক্সেলস

মহাকাশসংক্রান্ত নানা ধরনের গবেষণা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস)। এই স্টেশনে নিয়মিত বিরতিতে মহাকাশচারীরা সফর করে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করেন। এবার শূন্য মাধ্যাকর্ষণ বা মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির বৃদ্ধি কীভাবে হয়, তা জানার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া পাঠানো হয়েছে।

স্পেসএক্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ই কোলাই, সালমোনেলা বোঙ্গোরি ও সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামের ব্যাকটেরিয়া পাঠিয়েছেন ইসরায়েলের শেবা মেডিকেল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি মিশনে নভোচারীদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। নভোচারীদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিষয়টি গভীরভাবে জানা যাবে এই গবেষণা থেকে।

শেবা মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ গবেষণাগারের প্রধান অধ্যাপক ওহাদ গাল-মোর বলেন, মহাকাশের পরিস্থিতি ব্যাকটেরিয়ার আচরণকে প্রভাবিত করে। আর তাই সেখানকার পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া কীভাবে বৃদ্ধি পায়, ব্যাকটেরিয়ার জিনের অবস্থা ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বা ভাইরাসের মতো বৈশিষ্ট্য অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে জানা প্রয়োজন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পদ্ধতিগত ও আণবিকভাবে রোগজীবাণুর তথ্য জানতে পারব আমরা।

গত কয়েক দশকের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে ব্যাকটেরিয়া ভিন্নভাবে আচরণ করে। তারা প্রায়ই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর বাইরের পরিবেশে ভিন্ন ও পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ব্যাকটেরিয়া মহাকাশচারীদের ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি মিশনের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী গাল-মোর বলেন, ‘মহাকাশ ভ্রমণে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। যেসব ব্যাকটেরিয়া পাঠানো হয়েছে, শূন্যের নিচে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হিমায়িত করে মাইক্রোগ্র্যাভিটির অধীনে সেগুলোর বৃদ্ধি পরীক্ষা করা হবে। তারপর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আণবিক বিশ্লেষণ শেষে পৃথিবীতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

Lading . . .