নেপাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার: প্র
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংঘাতের মধ্যে কাঠমান্ডুতে আটকা পড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
মঙ্গলবার রাতে সরকারপ্রধানের দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে ফেরার সময়সূচি সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা বর্তমানে টিম হোটেলেই অবস্থান করছেন।”
দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন’ বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের ভাষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত এবং নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
“নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন—বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে—বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, যাতে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা যায়।”
এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
দুদিন ধরে জেন-জিদের সহিংস বিক্ষোভে নেপালের প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। দেশটির পার্লামেন্ট ভবন ও মন্ত্রীদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়েছে গোটা নেপালে।
সংঘাতের মধ্যে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকায় বিমানের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার কাঠমান্ডু গিয়েও সেখানে নামার অনুমতি পায়নি। পরে সেটি ঢাকায় ফিরে আসে।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সবরকম উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় ফেরার ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে।