Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • নেপালে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পরও ড্রয়ের স্বস্তি বা...

নেপালে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পরও ড্রয়ের স্বস্তি বাংলাদেশের

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ম্যাচ জুড়েই ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশের মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগকে। ছবি: বাফুফে
ম্যাচ জুড়েই ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশের মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগকে। ছবি: বাফুফে

‘নেপাল, নেপাল’ শ্লোগানে গ্যালারি মুখরিত করে রাখল সমর্থকরা। নিজেদের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেললেন অঞ্জন-অনন্তরাও। প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময় খেলা হলো বাংলাদেশের অর্ধে। মাঝে মধ্যে একটু-আধটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন জামাল-রাকিবরা, কিন্তু মরিয়াভাব ফুটে উঠল না কারো মধ্যে। তারপরও, ড্রয়ের স্বস্তি অন্তত সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।

দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম প্রীতি ম্যাচটি হয়েছে গোলশুন্য ড্র। আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে ফের মুখোমুখি হবে তারা।

সবশেষ ২০২২ সালে এই মাঠেই নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এ যাত্রায় হার এড়াতে পারল হাভিয়ের কাবরেরার দল।

যদিও কিক অফের পর থেকে প্রতিপক্ষের চাপে হাসফাঁস অবস্থা হয় বাংলাদেশের। তবে তপু বর্মন, কাজী তারিক রায়হানরা সতর্ক থাকায় বিপদে পড়েনি দল।

নবম মিনিটে প্রথম পাল্টা আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ, কিন্তু সুমন রেজা জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। এরপর থেকে খেলার গতি কমতে থাকে।

৩০তম মিনিটে ফ্রি কিকে অনন্ত তামাংয়ের হেড ঝাঁপিয়ে কোনোমতে সুজন হোসেন আটকানোর পর ওঠে অফসাইডের পতাকা। একটু পর মানি কুমার লামার ফ্রি কিকে গোলমুখ থেকে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি, বল বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে।

পাসিং ফুটবলে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে নেপাল। হামজা চৌধুরী, শোমিত সোমের অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠে জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানাকে ভুগতে দেখা যায়। তাতে আক্রমণভাগে সুমন পাচ্ছিলেন না পর্যাপ্ত বলের যোগান।

খেলার ধারার বিপরীতে ৩৮তম মিনিটে দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল বাংলাদেশের দুয়ারে; কিন্তু বক্সে বল পেয়েও তাড়াহুড়া করে নেওয়া সুমনের শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। এর একটু পরই ভুল পাসে প্রতিপক্ষের পায়ে বল তুলে দেন তপু। তবে বেঁচে যায় দল।

একটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে তুলে নামান শাহরিয়ার ইমনকে। ৬৩তম মিনিটে জামাল ও সাদউদ্দিনের বদলি নামেন কাজেম শাহ কিরমানি ও তাজ উদ্দিন। একটু পরই তামাংয়ের বুলেট গতির শট আটকান সুজন। ৭২তম মিনিটে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন রাকিব।

বদলি নামা তাজ উদ্দিন ৭৬তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু নেপাল অধিনায়ক ও গোলকিপার কিরণ চেমজং ছিলেন বলের লাইনে। অনায়াসে ফেরান তিনি। এরপরই সুমনের বদলি নামেন আরিফ হোসেন।

শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া নেপাল বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ বাড়ায়। তবে মিতুল মারমার চোটে পোস্ট সামলানোর দায়িত্ব পাওয়া সুজনের বাধা পার করতে পারেনি তারা।

Lading . . .