প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কার্ডিফের আকাশজুড়ে ছিল বৃষ্টি, আর মাঠে রঙিন লড়াই। খেলার দৈর্ঘ্য কমে গিয়েছিল মাত্র ১২.৫ ওভারে, তবুও উত্তেজনায় ভরপুর ছিল ম্যাচ। সেই অস্থির আবহেই ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে সিরিজে শুভসূচনা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বুধবার সোফিয়া গার্ডেনসে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জ্বলেছেন মার্কো জানসেন ও করবিন বোশ, দু'জনেরই শিকার দুটি করে উইকেট।
খারাপ আবহাওয়ায় ৪০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১২.৫ ওভারে। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে দেওয়া হয় ৫ ওভারে ৬৯ রানের লক্ষ্য। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় তারা শেষ পর্যন্ত থামে ৫ উইকেটে ৫৪– রানে। প্রায় প্রতি ওভারে ১৪ রানের চাপে ব্যাট হাতে টিকতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র জস বাটলার কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, করেন ২৫ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক আইডেন মারক্রাম খেলেন ১৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস, যাতে ছিল দুটি চার ও দুটি ছয়। ম্যাচসেরা ডোনোভান ফেরেইরা অপরাজিত ২৫ রানে তিনটি ছক্কা হাঁকান, আর ডিওয়াল্ড ব্রেভিস যোগ করেন ২৩ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন লিউক উড, তার বোলিং ফিগার ২/২২। তিনি রায়ান রিকেলটনকে শূন্য রানে ফেরান। তবে ব্যাটিংয়ে শুরুতেই ভরাডুবি হয় ইংলিশদের। প্রথম বলেই কাগিসো রাবাদার শিকার হন ফিল সল্ট। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকও ফিরেন শূন্য রানে। জ্যাকব বেথেল করেন ৭ রান, জানসেনের বলে ধরা পড়েন কভারে।
বাটলার লড়াই চালিয়ে গেলেও চতুর্থ ওভারের শেষ বলে জানসেনের শিকার হন তিনিও। তখনই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে ২৬ রানের অসম্ভব সমীকরণে বোশ প্রথম বলেই টম ব্যান্টনকে আউট করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন।
প্রেজেন্টেশনে মারক্রাম বলেন, 'নতুন বলে সুইং হচ্ছিল, তবে এক-দু'জন ব্যাটার যদি ছোট্ট ক্যামিও খেলতে পারে, তাহলেই বড় রান সম্ভব।' অপরদিকে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক স্বীকার করেন, 'আমরা যতটা ভালোভাবে খেলা উচিত ছিল, তা করতে পারিনি।'
দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগে ২–১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল। এবার টি–টোয়েন্টিতেও তারা এগিয়ে গেল ১–০ ব্যবধানে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হবে শুক্রবার, ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।