প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

র্যাঙ্কিং ও শক্তিমত্তায় দুই দলের পার্থক্য ফুটে উঠল মাঠের পারফরম্যান্সেও। ম্যাচজুড়ে আক্রমণে দাপট দেখাল ইংল্যান্ড। সেই তুলনায় খুব বেশি গোল না পেলেও প্রত্যাশিত জয় ঠিকই তুলে নিল টমাস টুখেলের দল।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ভিলা পার্কে শনিবার ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৭৪ নম্বর দল অ্যান্ডোরার বিপক্ষে চার নম্বরের ইংল্যান্ড জিতল ২-০ গোলে।
প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান ডেকলান রাইস।
চার ম্যাচের সবকটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘কে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সবগুলো হেরে সবার নিচে অ্যান্ডোরা।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে সব মিলিয়ে আট ম্যাচের সবকটিই জিতল ইংল্যান্ড। মোট ২৮ গোল করার বিপরীতে নিজেরা একটিও হজম করেনি তারা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইংল্যান্ড অপরাজিত রইল এই নিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচে (২৭ জয়, ৮ ড্র)। তাদের সবশেষ হার ২০০৯ সালের অক্টোবরে, ইউক্রেইনের বিপক্ষে ১-০ গোলে।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে প্রায় ৮৩ শতাংশ পজেশন ধরে রেখে গোলের জন্য ১১টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইংল্যান্ড। ৫টি সেভ করেন গোলরক্ষক। অ্যান্ডোরার ২ শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
শুরু থেকে আক্রমণে ছড়ি ঘোরালেও প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলমুখে কার্যকর হতে পারেনি ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। ২৫তম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় তারা। ননি মাদুয়েকের ক্রস বক্সে হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে বল পাঠান অ্যান্ডোরার ডিফেন্ডার গার্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পরপর দুই মিনিটে এবেরেচি এজে ও অভিষিক্ত এলিয়ট অ্যান্ডারসনের শট দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি সফরকারী গোলরক্ষক ইকের আলভারেস।
৬৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয়ের পথে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। রিস জেমসের ক্রসে চমৎকার হেডে গোলটি করেন ডেকলান রাইস। পরের মিনিটেই তাকে তুলে নেন কোচ।
বাকি সময়ে কয়েকবার সম্ভাবনা জাগালেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে লাটভিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সার্বিয়া। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে সার্বরা।
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার সার্বিয়ার মাঠে খেলবে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন