ভারত-পাকিস্তান মহারণে শিষ্যদের হেসনের সতর্কবার্তা
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট মানেই আবেগ, উত্তেজনা আর ইতিহাসের প্রতিধ্বনি। সীমান্তের বাইরে কোটি দর্শকের চোখও আটকে থাকে এই মহারণে। মে মাসে সীমান্ত সংঘর্ষের রক্তাক্ত স্মৃতি এখনো টাটকা, তার ঠিক পরেই এশিয়া কাপে দুবাইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ম্যাচটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অস্বাভাবিক চাপ ও আবেগের স্রোত।
এমন মহারণে দলকে সামলে রাখতে, আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখে শুধু খেলাতেই মনোযোগ দিতে শিষ্যদের পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন। তার চোখে এই ম্যাচ কেবল ক্রিকেট নয়, বরং কোটি মানুষের আবেগের লড়াই, যেখানে সামান্য ভুলও হতে পারে বড় মূল্য চোকানোর কারণ।
এশিয়া কাপের মিশনে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে হেসন বলেন, 'যে কোনো ম্যাচেই আমি একই কথা বলি—হোক সেটা বিশ্বকাপের ফাইনাল কিংবা সাধারণ ম্যাচ, সবচেয়ে জরুরি হলো হাতে থাকা কাজে মনোযোগী থাকা। রবিবারের ম্যাচও তার ব্যতিক্রম নয়।'
এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত যে দুর্দান্ত ফর্মে আছে, তা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে। আরব আমিরাতকে ১৩.১ ওভারে গুটিয়ে দিয়ে মাত্র ৪.৩ ওভারেই লক্ষ্য পূর্ণ করেছে তারা। বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ভারত ২১টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১৮টিতেই জয় পেয়েছে। তাই হেসনের চোখে ভারত যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হওয়াটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে পাকিস্তানও আসছে আফগানিস্তান ও আরব আমিরাতকে নিয়ে হওয়া একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে। ফলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। হেসন তাই বলছেন, 'আমরা দিন দিন দল হিসেবে উন্নতি করতে চাই। তবে নিজেদের খুব বেশি এগিয়ে নিতে চাই না।'
স্টেডিয়ামে ভরা দর্শক আর কোটি কোটি টিভি দর্শকের সামনে এমন মহারণে কোচ হিসেবে অভিষেককে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছেন হেসন, 'আমি দূর থেকে বহু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছি। এবার মাঠের ভেতর থেকে এমন উত্তেজনার অংশ হতে পারাটা সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি।'
এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও আরব আমিরাত। 'বি' গ্রুপে লড়বে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, হংকং ও বাংলাদেশ। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার ফোরে। আর সেখান থেকে নির্ধারিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।