Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • পঞ্চম বোলার ঘাটতি ও নুরের মারা ছক্কা নিয়ে অস্বস্তি...

পঞ্চম বোলার ঘাটতি ও নুরের মারা ছক্কা নিয়ে অস্বস্তি বাংলাদেশ দলে

ডেইলি স্টার

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শেষ ওভারে ম্যাচ জিতলেও নুর আহমেদ দুই ছক্কা মেরে দেন তাসকিনকে। ছবি: এসিসি
শেষ ওভারে ম্যাচ জিতলেও নুর আহমেদ দুই ছক্কা মেরে দেন তাসকিনকে। ছবি: এসিসি

টানটান উত্তেজনায় আফগানিস্তানকে হারানোর পর তাৎক্ষণিক আনন্দের পরই বাংলাদেশকে মেলাতে হচ্ছে হিসাব নিকাশ। না জিতলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত, জেতায় বেঁচে আছে আশা। কিন্তু নিজেদের হাতে কিছু না থাকায় ক্রিকেটারদের ভেতর আছে দোলাচল।

শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিলো আফগানদের, ক্রিজে তখন শেষ জুটি। বাংলাদেশের জয় নিয়ে শঙ্কা তখন উবে গেছে। কিন্তু তাসকিন আহমেদের ওই ওভারে নুর আহমেদ মেরে দেন দুই ছক্কা, এতে করে যা হয়েছে তাতে জয়ের ব্যবধান নেমে এসেছে এক অঙ্কে।

এতে করে রানরেট পজিটিভ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম যেমন বলছিলেন, 'শেষ দিকে যদি দুই-একটা বাউন্ডারি না আসত তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।'

রান রেট পজেটিভ করতে না পারায় এখন সমীকরণটা বেশ জটিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আফগানিস্তান জিতে গেলে নেট রানরেটের আক্ষেপে পুড়তে হবে লিটন দাসদের। হয়ত তখন আলোচনায় আসবে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আরও বড় ব্যবধানে জিততে না পারার প্রসঙ্গ। তানজিদ অবশ্য আপাতত আক্ষেপ করতে রাজী নন, 'এটা নিয়ে আক্ষেপ করতে চাই না। সামনে যেটা আসবে সেটা নিয়ে ভাবব।'

রানরেট বাড়িয়ে জিততে না পারার আক্ষেপ অবশ্য কণ্ঠ থেকে পুরোপুরি আড়াল হচ্ছে না তারও, 'সুযোগ ছিলো আমাদের, হলে ভালো হতো। না হলেও আমাদের ম্যাচ জেতাটা বেশি জরুরি ছিলো।'

জয়ের ব্যবধানটা ২০ রানে উপর রাখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেটা এক পর্যায়ে সম্ভবও ছিলো। কিন্তু দশের নিচে ব্যবধান নেমে আসায় অস্বস্তির কাঁটা বিধঁছে। মুখে সেটা স্বীকার না করলেও নিজেদের মধ্যে কথা চালাচালি করছেন তারা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের একাদশের আদল ছিল যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে গিয়ে একজন স্পেশালিস্ট বোলার কম নিয়ে খেলেছে দল। যার মাশুল দিয়ে হারও চোখ রাঙাচ্ছিলো। অনিয়মিত স্পিনার শামীম হোসেন আর সাইফ হাসান মিলে ৪ ওভারে দিয়ে দেন ৫৫ রান।

পঞ্চম বোলার খেলালে জয়টা আসতে পারত আরও বড় ব্যবধানে। তানজিদ অবশ্য ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের উপর, 'এই বিষয়ে আমার থেকে অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। তারাও এর আগে ভালো বল করেছে। এর আগে তারা রান কীভাবে কমে থামানো যায় সেই চেষ্টা করেছে। আজ হয়ত তাদের জন্য খারাপ দিন গিয়েছে।'

এমনিতে বাংলাদেশের মূল চার বোলার দারুণ বল করেছেন। শেষ দিকে তাসকিন কিছু বাউন্ডারি হজম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার ব্রেক থ্রোগুলো দলকে রেখেছে খেলায়। একাদশে আসা নাসুম ছিলেন অনবদ্য। রিশাদ হোসেন ছন্দহীনতা কাটিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, মোস্তাফিজুর রহমান দেখিয়েছেন কেন তিনি এসব উইকেটের রাজা। বোলারদের জন্য রান ডিফেন্ড করার বিশ্বাস ছিলো দলের, 'আমাদের বোলিং বিশ্বমানের। যে পুঁজি ছিলো আমাদের বিশ্বাস ছিলো রানটা ডিফেন্ড করতে পারব।'

তাসকিন সবার কথা বলে নিজের প্রসঙ্গে একটু চাপ থাকতে চাইছিলেন। তবে এদিন খেলার সুর বেধে দেন তিনিই। আগের ম্যাচে বিভীষিকাময় শুরু ভুলে আগ্রাসী ব্যাট চালিয়েছেন। তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিজ্ঞাপন।

উইকেট ট্রিকি থাকলেও সব সময় বড় শটের চেষ্টায় খেলা এই ব্যাটার জানান ঝুঁকি নিয়েই সফল হতে চেয়েছেন তিনি, 'আমি সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। আমি ঝুঁকি নেই, আমার জোনে থাকলেই আমি বাউন্ডারির জন্য যাই।'

Lading . . .