১০ কোটি পাউন্ডের বাড়তি চাপ ‘অনুভব করছেন না’ ভিয়েৎস
প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

যে কোনো ফুটবলারের দলবদলে সবসময়ই বড় আলোচনার বিষয় থাকে ট্রান্সফার ফি। আর সেটা যদি হয় বড় অঙ্কের, তাহলে তো কথাই নেই। ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎসের ১০ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে লিভারপুলে যোগ দেওয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে ঢের। তবে এতে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করছেন না বলে জানিয়ে দিলেন জার্মান এই মিডফিল্ডার।
কোনো দলবদলের মৌসুমেই লিভারপুলকে খুব বেশি খরচ করতে দেখা যায় না। তবে এবার তারা স্কোয়াডের শক্তি বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে। বায়ার লেভারকুজেনে দুর্দান্ত খেলা ভিয়েৎসকে কিনতেই উল্লেখযোগ্য অর্থ খরচ করেছে অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি; ১০ কোটি পাউন্ডের সঙ্গে নানা বোনাস মিলিয়ে আরও যোগ হতে পারে এক কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড।
এতে লিভারপুলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার হয়ে গেছেন ভিয়েৎস। খুব স্বাভাবিকভাবে তার কাছে ক্লাব ও কোচের প্রত্যাশাও থাকবে অনেক।
প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতিপর্বে মঙ্গলবার আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের প্রীতি ম্যাচে শুরুর একাদশে খেলেন ভিয়েৎস। ম্যাচটির পর তিনি আশা প্রকাশ করেন, বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি কিংবা আকাশ সমান প্রত্যাশা তার পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
“(চাপ তৈরি করবে কি-না) আমার তেমনটা মনে হয় না।”
“আমি কেবল ফুটবল খেলতে চাই। ক্লাব দুটি নিজেদের মধ্যে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া-নেওয়া করেছে, তা কোনো ব্যাপার নয়।”
প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে ইতোমধ্যে নিজের সামর্থ্য জানান দিয়েছেন ভিয়েৎস। গত সপ্তাহে জাপানের ক্লাব ইয়োকোহামা এফ মারিনোসের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান তিনি। বিলবাওয়ের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচেও তার পারফরম্যান্স ছিল উজ্জ্বল।
অল্প কদিনেই নতুন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং দলে অবদান রাখতে পেরে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন ২২ বছর বয়সী ফুটবলার।
“লিভারপুলে প্রথম কয়েক সপ্তাহ সত্যিই আমি উপভোগ করছি… ভালো লাগছে। এজন্যই আমি এখানে এসেছি, কারণ আমি এই দলে মানিয়ে নিতে পারি। এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলা উপভোগ করছি। প্রতি মুহূর্তে সবকিছু আরও ভালো হচ্ছে। যেভাবে সবকিছু এগোচ্ছে, তাতে আমি খুশি।”
আরও পড়ুন