Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • রোনালদো ও ফেলিক্সের জোড়া গোলে দুর্দান্ত শুরু পর্তু...

রোনালদো ও ফেলিক্সের জোড়া গোলে দুর্দান্ত শুরু পর্তুগালের

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এক ফ্রেমে পর্তুগালের তিন গোলদাতা (বাঁ থেকে) রোনালদো, কান্সেলো ও ফেলিক্স। ছবি: রয়টার্স
এক ফ্রেমে পর্তুগালের তিন গোলদাতা (বাঁ থেকে) রোনালদো, কান্সেলো ও ফেলিক্স। ছবি: রয়টার্স

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুললেই গোল করার ধারা নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ধরে রাখলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পরে করলেন আরেকটি দৃষ্টিনন্দন গোল। দুবার জালে বল পাঠালেন জোয়াও ফেলিক্সও। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা দল আর্মেনিয়াকে গোলবন্যায় ভাসাল পর্তুগাল।

প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার ৫-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যাত্রা শুরু করল রবের্তো মার্তিনেসের দল। তাদের অন্য গোলটি করেন জোয়াও কান্সেলো।

‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে অধিকাংশ সময় পজেশন রেখে আক্রমণ চালিয়ে যায় ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বরে থাকা পর্তুগাল, গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বিপরীতে শেষ আধা ঘণ্টায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা র‍্যাঙ্কিংয়ের ১০৫ নম্বর দল আর্মেনিয়া সাত শট নিয়ে তিনটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।

ক্লাব আল নাস্‌রের হয়ে লিগ অভিষেকে হ্যাটট্রিকের আলো ছড়ানোর সাত দিন পর, জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে দশম মিনিটেই গোল করেন ফেলিক্স। ডান দিক থেকে জোয়াও কান্সেলোর গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে সবার ওপরে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই স্ট্রাইকার।

প্রথম মিনিট থেকে একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে গত জুনে উয়েফা নেশন্স লিগ জয়ীরা, স্কোরলাইনে নাম লেখান রোনালদো। ডাক দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে ক্রস বাড়ান পেদ্রো নেতো। পা বাড়িয়ে শূন্যে নিখুঁত ছোঁয়ায় বলের গতিপথ পাল্টে দেন পর্তুগাল অধিনায়ক, বল খুঁজে পায় ঠিকানা।

জাতীয় দলের হয়ে টানা চার ম্যাচে জালের দেখা পেলেন রোনালদো।

১১ মিনিট পর রোনালদোর কোনাকুনি জোরাল শট কোনোমতে আটকান গোলরক্ষক, কিন্তু দলকে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। গোলরক্ষক হেনরি ফেরানোর পর বল চলে যায় অন্য পোস্টে, সেখান থেকে সতীর্থের পাস প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে পেয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান কান্সেলো।

এরপর, দৌড়ে বাইলাইনের কাছে গিয়ে প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জটার মতো করে বসে গোলটি উদযাপন করেন এই ডিফেন্ডার।

বিরতির পর পুনরায় খেলা শুরুর ৪৬ সেকেন্ডে দর্শনীয় একটি গোল করেন রোনালদো। সতীর্থের থ্রু বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে পেয়ে যান তিনি এবং প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নেন বুলেট গতির শট। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময় গত শুক্রবার ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে দুবার জালে বল পাঠিয়ে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৩৬ গোল নিয়ে রোনালদোর পাশে বসেন লিওনেল মেসি। এবার এই দুই গোলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় আবার আর্জেন্টাইন তারকাকে ছাড়িয়ে এককভাবে দুই নম্বরে বসলেন রোনালদো (৩৮টি)।

তালিকার শীর্ষে থাকা কার্লোস রুইসকে ছাড়িয়ে যেতে আর দুই গোল চাই রোনালদোর।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে রেকর্ড গোলদাতার মোট গোল হলো ১৪০টি, ২২২ ম্যাচে।

২০১৫ সালের ১৩ জুন ইউরোর বাছাইপর্বে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিল পর্তুগাল, সেদিন ৩-২ ব্যবধানে জয়ের পথে দলের তিনটি গোলই করেছিলেন রোনালদো।

পরের কয়েক মিনিটে টানা কয়েকটি আক্রমণ করে পর্তুগাল, দারুণ সব সুযোগও আসে। সতীর্থের পাস ধরে রোনালদো নিজে শট নিতে পারতেন; কিন্তু তিনি বল বাড়ান বাঁ দিকে, সেখান থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেসের শট পোস্টে বাধা পায়।

মুহুর্মুহু আক্রমণ শাণাচ্ছিল পর্তুগাল এবং প্রতিবারই মনে হচ্ছিল গোল হতে পারে। তবে আরেকটি হ্যাটট্রিকের চেষ্টায় যেতে পারেননি রোনালদো। ৫৮তম মিনিটে তাকে তুলে গন্সালো রামোসকে নামান কোচ।

রোনালদো উঠে যাওয়ার তিন মিনিট পর কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফেলিক্স। গোলমুখে ছোটার পথে বল তার গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

বাকি সময়ে পর্তুগিজদের আক্রমণের ধার কমে আসে এবং সেই সুযোগে পাল্টা আক্রমণে উঠতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু ব্যবধান তারা কমাতে পারেনি।

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ডের চারে চার

Lading . . .