থুইনুই, প্রীতি ও রিয়ার গোলে নেপালকে হারাল বাংলাদেশ
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ম্যাচের ডেডলক খুললেন থুইনুই মারমা। এই গোলের রেশ থাকতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। ক্রসবার ও পোস্টের বাধায় দ্বিতীয়ার্ধে বারবার হতাশ হওয়ার পর শেষ দিকে জালের দেখা পেলেন বদলি নামা রিয়া। সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নিশপে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।
ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে রোববার নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা শুরু করা মাহবুবুর রহমান লিটুর দল দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে।
তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি দেখায় আগামী বুধবার নেপালের মুখোমুখি হবে।
শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরার চেষ্টা করতে থাকে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ মিনিটে উম্মে কুলসুমের দুর্বল শট যায় গোলকিপার বরাবর। পরের মিনিটে ছোট বক্সের একটু ওপর থেকে আলপি আক্তার ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। এক ডিফেন্ডারের পায়ে বল লেগে চলে যায় ফাঁকায় থাকা প্রীতির কাছে। তার শটও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
চতুর্দশ মিনিটে প্রীতির প্লেসিং শট ফিস্ট করে ফেরান বলের লাইনে থাকা গোলকিপার লক্ষ্ণী ওলি। ২০তম মিনিটে নেপালের ইয়াম কুমারী চিপ শট নিতে পা বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু বলের নাগাল পাননি। তার আগে ক্লিয়ার করেন গোলকিপার ইয়ারজান বেগম।
৩৫তম মিনিটে অনেকটা ফাঁকা পোস্ট পেয়েও প্রীতি বাইরে শট নিয়ে হতাশ করেন। এর ছয় মিনিট পর খোলে ম্যাচের ডেডলক। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মামনি চাকমা কর্নারের কাছাকাছি থেকে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান। এরপর জটলার মধ্যে কয়েক পা ঘুরে বল এসে পড়ে ফাঁকায় থাকা থুইনুইয়ে কাছে। দৃষ্টিনন্দন শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি।
৪৫তম মিনিটে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। আক্রমণ ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার, কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফাঁকা পোস্টে অনায়াসে বল পৌঁছে দেন প্রীতি।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে খুব একটা মরিয়া ছিল না বাংলাদেশ। ৭৬তম মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল পেয়ে গিয়েছিলেন প্রীতি, কিন্তু নিজে শট নিয়ে অন্য প্রান্তে থাকা সতীর্থকে বাড়াতে গিয়ে নষ্ট করেন সুযোগটি। একটু পর নেপালের সাহারা লিম্বুর শট সহজেই গ্লাভসে জমান ইয়ারজান।
৭৯তম মিনিটে কাছের পোস্টে নেওয়া প্রীতির শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে লেগে। পাঁচ মিনিট পর থুইনুইয়ের দূরপাল্লার শটও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে প্রীতির আরেকটি শট পোস্ট কাঁপিয়ে ফেরে। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন বদলি নামা রিয়া।
দলের জয়ে খুশি হলেও কিছু সুযোগ নষ্ট হওয়ায় হতাশ কোচ লিটু। তার আশা, এই ভুলগুলো শুধরে পরের ম্যাচগুলো খেলবে মেয়েরা।
“মেয়েরা ভালো খেলেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে যদি ম্যাচটি দেখি, আমাদের অনেক মিস হয়েছে। প্রথম দিনেই বলেছি, এটা আমাদের শেখার সময়। মেয়েরা ভুল করবে, এখান থেকেই শিখবে। আশা করি, পরের ম্যাচের আগে মেয়েরা এই ভুলগুলো শুধরে নেবে।”