Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • হার্ডলসে তানভীরের হ্যাটট্রিক, জীবনের হার্ডলসই বড় র...

হার্ডলসে তানভীরের হ্যাটট্রিক, জীবনের হার্ডলসই বড় রোকসানার

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

অ্যাথলেটিক্সে অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট হার্ডলস। এই খেলায় নির্দিষ্ট মিটার দূরত্বের পর পর আবার নির্দিষ্ট উচ্চতায় লাফিয়ে বাধা অতিক্রম করতে হয়। সেই হার্ডলসে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন নোয়াখালীর রোকসানা বেগম। আজ ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটার হার্ডলসে তিনি ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় প্রতিযোগিতাতেও প্রথম হয়েছিলেন তিনি।

জাতীয় পর্যায়ে হার্ডলস পার করা রোকসানার জীবনটাও হার্ডলসময়, ‘আমার বাবা মাইক্রো গাড়ি চালক ছিলেন। তিন ভাই ও এক বোনের সংসারে এখন আমিই একমাত্র আয় নির্বাহ করি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০২০ সাল থেকে রয়েছি। আর্মি থেকে প্রাপ্ত বেতনেই আমি নিজে চলি ও পরিবারকে সাহায্য করি। ’

নোয়াখালীর সোনাপুরে রোকসানার বাড়ি। ঐ জেলার অন্য অ্যাথলেটদের মতো রফিক উল্লাহ মিলনের হাত ধরেই তার অ্যাথলেটিক্সে আসা, ‘মিলন স্যারই আমাকে অ্যাথলেটিক্সে এনেছেন। আমি লং জাম্প দিয়ে অ্যাথলেটিক্স শুরু করেছিলাম। স্যারের পরামর্শে হার্ডলসে আসি এবং ভালোই করছি।’

নোয়াখালীর গ্রামীণ পরিবেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তিনি আজ এই পর্যায়ে এসেছেন, ‘গ্রামে পরিবারকে অনেকে অনেক কথা বলত, মেয়ে সন্ধ্যার পর কোথা থেকে আসে। তারা তো আর জানতো বা বুঝতো না অ্যাথলেটিক্স বা খেলাধূলা করি।’ অ্যাথলেটিক্সে আসায় এখন রোকসানাকে অনেকে চেনেন। সম্মান মিললেও প্রাপ্তিটা পর্যাপ্ত নয়। এরপরও খানিকটা সন্তুষ্টি তার, ‘অ্যাথলেটিক্সে না আসলে হয়তো এতদিন বিয়েশাদি হয়ে যেত। গ্রামীণ সমাজে যেটা খুবই স্বাভাবিক।’

ছেলেদের ১১০ মিটার হার্ডলস জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তানভীর ফয়সাল। তিনি গত দুই জাতীয় আসরেও এই ইভেন্টে সেরা ছিলেন। হার্ডলসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্ব থাকলেও তেমন আলোচনায় থাকেন হার্ডলাররা। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ ঝড়ল তানভীরের কন্ঠে, ‘আমরা অ্যাথলেট, ১০০ মিটার যারা করে তারাও। মিডিয়া, ফেডারেশন বা সবারই দৃষ্টি থাকে ১০০ মিটারের দিকেই।’

তরুণ অ্যাথলেটদের লক্ষ্য থাকে স্প্রিন্টার হওয়ার। হার্ডলারের স্বপ্ন দেখেন খুব কম জনই। তানভীর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন হার্ডলার হিসেবে। এ নিয়ে তার মন্তব্য, ‘অ্যাথলেটিক্স মানেই কষ্ট। সেটা আমার শরীর দেখেই বুঝতে পারছেন। হার্ডলসই আমার পছন্দ, আমি হার্ডলসই করে থাকি।’

এবার সামারের শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমে তানভীরের এই ইভেন্টে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়েছে। তবে তার কাছে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই বেশি আনন্দের, ‘প্রথম যে কোনো কিছুই স্মরণীয়। তাই প্রথম যখন প্রথম হয়েছিলাম সেটাই বেশি আনন্দ দিয়েছিল।’

আজ অনুষ্ঠিত অন্যান্য ইভেন্টের মধ্যে ৪০০ মিটার হার্ডলসে সেনাবাহিনীর নাজমুল হাসান রনি, একই সংস্থার বর্ষা খাতুন, নারী ডিসকাস থ্রোতে নৌবাহিনীর জাফরিন আক্তার, পুরুষ লং জাম্পে পুলিশের মনিরুল মোল্লা, শটপুটে নৌবাহিনীর গোলাম সারওয়ার শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন। আগামীকাল জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্স সমাপ্ত হবে।

এজেড/এএল

Lading . . .