Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ‘আমার ইতিহাসের একটা অংশ চলে গেল’, কস্তাকে নিয়ে অশ্...

‘আমার ইতিহাসের একটা অংশ চলে গেল’, কস্তাকে নিয়ে অশ্রুসিক্ত মরিনিয়ো

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত জোসে মরিনিয়ো (বাঁয়ে) ও জর্জ কস্তা। ছবি: এক্স
সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত জোসে মরিনিয়ো (বাঁয়ে) ও জর্জ কস্তা। ছবি: এক্স

সংবাদ সম্মেলনে জর্জ কস্তার প্রসঙ্গ উঠতেই হাত দিয়ে চোখ মুছলেন জোসে মরিনিয়ো। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। পোর্তোর চ্যাম্পিয়ন্স জয়ী অধিনায়কের মৃত্যুতে ভীষণ মর্মাহত এই পর্তুগিজ কোচ।

মরিনিয়ো যখন পোর্তোর কোচ ছিলেন, তখন দলটির অধিনায়ক ছিলেন কস্তা। এই যুগলের হাত ধরে উয়েফা কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল পর্তুগিজ ক্লাবটি।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ৫৩ বছর বয়সে মারা যান কস্তা। পর্তুগালের সাবেক এই ডিফেন্ডার ক্লাবটির ফুটবল পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন।

বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচের দায়িত্বে থাকা ৬২ বছর বয়সী মরিনিয়ো একই দিন পরে সংবাদ সম্মেলনে শ্রদ্ধা জানান কস্তার প্রতি।

“অনেক অধিনায়ক আছে, নেতা আছে। কখনও কখনও এটা তাদের আর্মব্যান্ডের বিষয় নয়, বরং তারা কিসের প্রতিনিধিত্ব করে, সেটাই আসল। আর জর্জ ছিল সেসব মানুষদের একজন, যে কোচকে কোচ হিসেবে তার কাজ করতে দিয়েছিল, ড্রেসিংরুমের নেতা হিসেবে নয়। আর এটাই একজন কোচের জন্য পরিপূর্ণতা। (তার মৃত্যুতে) আমার কষ্ট হচ্ছে, আমার ইতিহাসের একটা অংশ চলে গেল।”

১৯৯২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত পোর্তোর হয়ে প্রায় চারশ ম্যাচ খেলেন কস্তা। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত দলটির কোচের দায়িত্বে ছিলেন মরিনিয়ো। ২০০৩ সালে তাদের উয়েফা কাপ (বর্তমানে যেটা ইউরোপা লিগ) ও ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন কস্তা।

একজন পেশাদার হিসেবে কস্তা কেমন প্রকৃতির ছিলেন, তা আরেকবার তুলে ধরলেন মরিনিয়ো।

“যদি সে এখন আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত, তাহলে সে বলত: ‘এসব বাদ দিন, এখন আপনার সংবাদ সম্মেলন শুরু করুন। আগামীকাল ম্যাচ আছে কোচ, জয় তুলে নিন এবং আমাকে এখন ভুলে যান।’ জর্জ এটাই বলত, তাই আমিও এটাই করার চেষ্টা করব। আজ, আগামীকাল আমার কাজ করব, তারপর কাঁদব।”

Lading . . .