প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার পর লস অ্যাঞ্জেলস এফসিতে (এলএএফসি) যোগ দেওয়ার তেমন একটা ইচ্ছা ছিল না সন হিউং-মিনের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির সহ-সভাপতি বদলে দিয়েছে তার ভাবনা। শেষ পর্যন্ত দলবদলের রেকর্ড গড়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটিতে এসে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো লাগছে দক্ষিণ কোরিয়ান তারকার কাছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন সন। তখনই ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোয় খবর বের হয়, নতুন ঠিকানা হিসেবে এলএএফসিতে পাড়ি জমাতে পারেন তিনি। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো।
এলএএফসির সঙ্গে চুক্তি করার পর গত মঙ্গলবার দলের লিগস কাপের ম্যাচ দেখতে যান সন। সেখানে তাকে দর্শকদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। গর্জে উঠে তাকে স্বাগত জানায় ক্লাবটির সমর্থকরা।
পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সামনে সনকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ‘রেকর্ড ট্রান্সফারে’ চুক্তির বিষয়টিও জানায় এলএএফসি। তিন বছরের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করে ক্লাবটি। ২০২৮ সাল ও ২০২৯ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়।
দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে আর্থিক বিষয়টি অবশ্য খোলাসা করা হয়নি। তবে গণমাধ্যমের খবর, সনের ট্রান্সফার ফি ২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। যেটা এমএলএসে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি।
নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে রোমাঞ্চিত টটেনহ্যামে সাবেক অধিনায়ক সন।
“এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। এলএ (লস অ্যাঞ্জেলস)-কি চমৎকার শহর। সত্যি বলতে, এই ক্লাব আমার প্রথম পছন্দ ছিল না। কিন্তু মৌসুম শেষ হওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলসের সহ-সভাপতি জনের (থরিংটন) সঙ্গে প্রথম আলাপে তিনি আমার মন, হৃদয়, ভাবনা সব বদলে দিয়েছেন।”
“আমার গন্তব্য কোথায় থাকা উচিত, তিনি আমাকে দেখিয়েছিলেন। এখন আমি এখানে। অনেক খুশি ও খুবই রোমাঞ্চিত।”
এলএএফসিতে খেলছেন সনের সাবেক টটেনহ্যাম সতীর্থ উগো লরিস। ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষকও তাকে এই ক্লাবে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছেন।
“লস অ্যাঞ্জেলস কতটা দুর্দান্ত, উগো আমাকে সেটা জানতে সাহায্য করছিল এবং পরামর্শও দিয়েছিল।”
টটেনহ্যামে ১০ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭৩ গোল করেন সন। ২০২১-২২ মৌসুমে এশিয়ার প্রথম ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন তিনি। লন্ডনের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার আগে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুজেনে (২০১৩-২০১৫) খেলেছিলেন এই লেফট উইঙ্গার।
আগামী শনিবার সিকাগোর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী সন। বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেও নিজের সামর্থ্য ও খেলার মান নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
“আমার মনে হয়, আমাকে বুড়ো বলতে পারি। তবে আমার এখনও ভালো শারীরিক সামর্থ্য আছে, চমৎকার দুটি পা আছে (মাঠে বিচরণের জন্য) এবং খেলার মানও এখনও দারুণ।”
“আমি এখানে জিততে এসেছি…আমি পারফর্ম করব এবং অবশ্যই রোমাঞ্চকর কিছু করে দেখাব। নিশ্চিতভাবেই আমরা সফল হবো।”