Advertisement

আবারও মাঠে নামছেন তারা

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

গত বছর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সিলেটের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই টুর্নামেন্ট বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছিল। সবমিলিয়ে গত আসর সফলভাবেই আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। গত মৌসুমের এনসিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পুরোটাই হয়েছে একটি ভেন্যু সিলেটে। তবে এবার বাড়ানো হয়েছে ভেন্যুর সংখ্যা। তিন ভেন্যু রাশশাহী, বগুড়া ও সিলেটকে রাখা হলেও রাখা হয়নি ঢাকা ও চট্টগ্রামকে। ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের তিন বড় নাম। তামিম ইকবাল নিয়ে জটিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত খেলতে দেখা যাবে তাকে। এছাড়া মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দেখা যাবে এই টুর্নামেন্টে। শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে লম্বা সময় পর খেলার মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটাই গতকাল জানিয়েছেন। প্রতি ক্রিকেটারই খেলবেন নিজ নিজ বিভাগের হয়ে। তবে এনসিএলে এবারের আসরে খেলার জন্য রাজশাহীতে থাকছেন না মুশফিক। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বগুড়ার মুশফিক। তামিমের ব্যাপারে আকরাম বলেন, 'তামিমের সাথে কথা হয়েছে, তামিমও খেলবে।' পরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তিনি বলেন, 'মুশফিক খুব সম্ভবত সিলেটের হয়ে খেলার জন্য অনুরোধ করেছে। ও (মুশফিক) মনে হয় সিলেটের হয়ে খেলতে চায়। রিয়াদ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি মানে নির্বাচকদের বলেনি। কিন্তু খুব সম্ভবত ও খেলবে, খেলা উচিত।' এই আসরের জন্য গ্রাউন্ডস কমিটির কাছে তিনটা ভেন্যু চেয়েছিল নান্নুর নেতৃত্বাধীন টুর্নামেন্ট কমিটি। সেটা মঞ্জুর করেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আকরাম বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের লম্বা একটা সভা হয়েছে। কারণ, ভেন্যু পাওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। একই জায়গায় দুইটা মাঠ দরকার। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি বগুড়া, রাজশাহী এবং সিলেটÑএই তিনটা জায়গায় আমরা করবো।’ রাজশাহী, বগুড়া ও সিলেটে সব ম্যাচ হলেও কোনও ম্যাচ রাখা হয়নি চট্টগ্রাম ও ঢাকাতে। এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি ক্রিকেটটা যেন সারা বাংলাদেশে হয়, ভালো জায়গায় হয়। বগুড়ায় কিন্তু অনেকগুলো ম্যাচ হয়েছে, সেটা আমাদের মাথায় আছে। তারপর রাজশাহীতে প্রচুর ক্রিকেট সমর্থক আছে। রাজশাহী থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড়ও আসছে। সিলেটে আমাদের দিবা-রাত্রির একটা পরিকল্পনা আছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হয়ত আমরা দিবা-রাত্রির করবো, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’ দিবারাত্রি ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে আকরাম বলেন, ‘ওদের তো বিপিএল নিয়ে অনেক চাহিদা আছে, ওরা সবসময় বলে। আমরা চেষ্টা করেছি ক্রিকেটটা যেন সারা বাংলাদেশে হয়, ভালো জায়গায় হয়। বগুড়ায় কিন্তু অনেকগুলো ম্যাচ হয়েছে, সেটা আমাদের মাথায় আছে। তারপর রাজশাহীতে প্রচুর ক্রিকেট সমর্থক আছে। রাজশাহী থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড়ও আসছে। সিলেটে আমাদের দিবা-রাত্রির একটা পরিকল্পনা আছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হয়তো আমরা দিবা-রাত্রির করব, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

আরও পড়ুন

Lading . . .