Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ৬৪ বছর পর এতটা দুর্দান্ত শুরু ইন্টার মিলানের

৬৪ বছর পর এতটা দুর্দান্ত শুরু ইন্টার মিলানের

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

দুটি গোল করেন মার্কাস থুরাম, একটি লাউতারো মার্তিনেস। ছবি: রয়টার্স।
দুটি গোল করেন মার্কাস থুরাম, একটি লাউতারো মার্তিনেস। ছবি: রয়টার্স।

‘৫-০’ দুঃস্বপ্ন অনেক দিনই হয়তো তাড়িয়ে বেড়াবে ইন্টার মিলানকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালে এভাবেই তারা বিধ্বস্ত হয়েছিল পিএসজির কাছে। সেই ধাক্কা পেছনে ফেলার লড়াইয়ে নতুন মৌসুমের শুরুটা করল তারা একই ব্যবধানের জয়ে। সেরি আ-তে এতটা ভালো শুরু গত পাঁচ যুগের মধ্যে পায়নি তারা।

সান সিরোয় সোমবার তুরিনোকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করল ইন্টার মিলান।

লিগের প্রথম ম্যাচে ৫ গোলের ব্যবধানে জয় পেল তারা সেই ১৯৬১ সালের পর প্রথমবার।

দুটি গোল করেন মার্কাস থুরাম, একটি করে আলেসান্দ্রো বাস্তোনি, লাউতারো মার্তিনেস ও আঁজ-ইয়োয়ান বনি।

৫ গোলেও পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না ইন্টার মিলানের দাপট। গোল হতে পারত আরও বেশি। গোলে ২০টি শট নেয় তারা, এর ৯টি ছিল লক্ষ্যে। তুরিনোকে অসহায় বানিয়ে স্রেফ যেন ছেলেখেলায় মেতে ওঠে তারা।

ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার পর থেকেই ছিল ইন্টারের দাপট। প্রথম মিনিটেই থুরামের হেড অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। অষ্টাদশ মিনিটে কর্নার থেকে বাস্তোনির হেডে এগিয়ে যায় তারা।

প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান থুরাম। পরে ৫১তম মিনিটে গোল করেন অধিনায়ক আর্জেন্টাইন তারকা মার্তিনেস। থুরামের দ্বিতীয় গোল আসে ৬২তম মিনিটে। গত মাসেই দলে যোগ দেওয়া ২১ বছল বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড বনি গোল করেন ৭২তম মিনিটে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ৫ গোল হজমের স্মৃতির কারণেই কি না, এই ম্যাচে ৫ গোল করার চেয়েও গোল না খাওয়ার তৃপ্তির কথা বললেন থুরাম।

“এই জয়ের মানে হলো আমরা কোনো গোল হজম না করে ভালোভাবে শুরু করেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত শতভাগ তৈরি নই আমরা, সেখানে পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। তবে এটি ভালো ম্যাচ ছিল।”

গত মৌসুমে এক পর্যায়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি ছিল ইন্টার মিলানের সামনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি কোনোটিই। বিশেষ করে লিগে রানার্স আপ হওয়া ও পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গুঁড়িয়ে যাওয়ায় তাদের মৌসুম রূপ নেয় হতাশায়।

নতুন মৌসুমে অবশ্য নতুন রূপেই নিজেদের মেলে ধরতে চান থুরাম।

“গত মৌসুমে যা হয়েছে, এখন তা অতীত। এটা নতুন অভিযান, আগের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখেছি।”

একই সুর শোনা গেল বাস্তোনির কণ্ঠেও।

“আমরা সবাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিলাম এবং গত মৌসুমের শেষটা কঠিন হলেও দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম যে আমাদের তাড়না কতটা এবং আমরা কী করতে পারি।”

Lading . . .