পাওয়ার হিটিং ব্যাট কীভাবে কাজ করে, জানালেন জাকের
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় এই আসর। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এবারের আসরে সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে নিজেদের প্রস্তুত করছে টাইগাররা। এরই মধ্যে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজও শুরু করেছেন তিনি।
কেমন কাজ হচ্ছে? পাওয়ার হিটিং শেখানোর জন্য জুলিয়ান যে বিশেষ ব্যাট ব্যবহার করছেন, তার কতটা প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে? মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এসব বিষয়ে কথা বলেন জাতীয় দলের মিডল কাম লেট অর্ডার ব্যাটার জাকের আলী।
জাকেরের কাছে প্রশ্ন ছিল, প্রগ্রেসিভ যে ব্যাটটা ব্যবহার করা হচ্ছে অনুশীলনে, সেটা কতটা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে? জবাবে হার্ডহিটিং এই ব্যাটার বলেন, ‘জুলিয়ানের ব্যাটটা? এটা ম্যাটার করে ভাই। দেখেন, একেকজনের সুইং একেক রকম। কারও সুইং বেসবল টাইপ, কারও সুইং গলফ টাইপ। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কোনটা নিবে। আসলে ও (জুলিয়ান) আসার পরেই বলছে, 'আমি তোমাদেরকে এখানে... তোমার বেসিকের মধ্যেই আমি চেঞ্জেসটা আনতে চাইছি।' মানে ও ডিফারেন্ট কিছু দিয়ে দিবে না। ওইরকম কিছুই বলছে। যার যার প্যাটার্ন অনুযায়ী ও এই কাজটা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
প্রগ্রেসিভ ব্যাটের কাজ হলো পেশির শক্তি বাড়ানো, সুইং স্পিড উন্নত করা, টাইমিং ও কন্ট্রাক্ট নির্ভুল করা। অনুশীলনের সময় হিটের মাত্রা বা তীব্রতা অনুযায়ী ব্যাটে আলাদা আলাদা সাউন্ড হয়। সেটা কেমন অনুভূতি দেয়?
জাকের বলেন, ‘অবশ্যই, ভালো একটা ফিলিংস আসে। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা যায়। তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো কন্টিনিউয়াসলি কাজ করলে অবশ্যই কাজে দিবে।’
পাওয়ার হিটিং কোচ এসেছেন, এশিয়া কাপের আগে মনোবিদের সঙ্গেও কাজ করার কথা টাইগারদের। মনোবিদ আসলে কতটা দরকার ?
জাকেরের জবাব, ‘এটা ডিপেন্ড করে বিসিবির ওপর। বাট আমাদেরকে যাই দেওয়া হবে, আমরা এগুলা অ্যাডাপ্ট করার চেষ্টা করব। মনোবিদ আসলে অবশ্যই আমরা উনার যে কাজ, আগেও তো ছিল আমাদের সাথে। তো সে আমাদেরকে নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। সো এগুলা ভালো, ভালো ইমপ্যাক্ট পড়ে।’