প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ায় টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে বড় ব্যবধানে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৩২ রানে হারিয়েছে নেপালকে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ৬ উইকেটে ১৮৬ রান। জবাবে নেপাল সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান। গতকাল টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দুই ওপেনার জিসান আলম ও নাঈম শেখ মিলে ঝড় তোলেন ২২ গজে। ৬.৩ ওভারে ৬০ রান তোলার পর জুটি ভাঙে তাদের। ১৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন নাঈম। সঙ্গীকে হারানোর পরও জিসানের ব্যাটে ঝড় অব্যাহত থাকে। ৪৫ বলে ৭১ রান তুলে নন্দন যাদবের শিকার হন জিসান। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো। এরপর টানা তিন চারে ভালোই শুরু করেছিলেন আফিফ। তবে সাইফ হাসানের সঙ্গে এই জুটি বেশিদূর এগোয়নি রান আউটে। ১১ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন সাইফ। চতুর্থ উইকেটে সোহানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ। ২১ রানের জুটির পর সোহানও বিদায় নেন। কারান কেসির বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ৫ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। খেলেন ১১ বলে ৫ রানের ইনিংস। অধিনায়কের বিদায়ের পর বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউই থিতু হতে পারেননি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫), তোফায়েল আহমেদ (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে গেছেন আফিফ। তার ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসেই মূলত নেপালকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হয়। দুইশো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা আফিফ। ২৩ বলে ৯ চারে নিজের ইনিংসটাকে সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটার।
নেপালের বোলারদের মধ্যে রিজান ধাকল নেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট। কারান কেসি, নন্দন যাদপ ও সন্দীপ লামিচানে নেন একটি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করেছে নেপাল। ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মাল্লা। ২৮ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ আসিফ শেখ। ১৫ রান করেন লোকেশ বাম এবং নন্দন যাদব করেন অপরাজিত ১৪ রান। বাংলাদেশের রাকিবুল হাসান ১৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট। বাকি দুটি নেন রিপন মন্ডল ও তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন