পামারকে ছাড়াই বিধ্বংসী চেলসি, যেন ‘সবাই ম্যাচ সেরা’
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন কোল পামার। তবে তার শূন্যতা বুঝতেই দিলেন না স্কোয়াডের তরুণ ও নতুন খেলোয়াড়রা। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর, যে দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিল চেলসি, তা সত্যিই অসাধারণ।
লন্ডন স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ষষ্ঠ মিনিটেই লুকাস পাকেতার গোলে পিছিয়ে পড়ে চেলসি। সেই ধাক্কা দ্রুত সামলে নিয়ে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে তারা। বিরতির পর আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে তুলে নেয় ৫-১ গোলের জয়।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয় প্রথম এক ঘন্টায়, এবং চেলসির পাঁচটি গোল করেন ভিন্ন পাঁচ জন; জোয়াও পেদ্রো, পেদ্রো নেত, এনসো ফের্নান্দেস, মোইসে কাইসেও ও ট্রেভো চালোবাহ।
কেবল ভিন্ন পাঁচ জন গোল করেছে বলেই নয়, প্রত্যেক খেলোয়াড় যেভাবে এগিয়ে এসেছে, যথাসময়ে যেখানে প্রয়োজন নিজেকে মেলে ধরেছে- পুরো দলের এমন পারফরম্যান্স ভীষণ মনে ধরেছে ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার জেমি রেডন্যাপের।
“চেলসির যেকোনো একজনকেই আপনি ম্যাচ সেরা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। তারা সবাই চমৎকার খেলেছে, বিশেষ করে ম্যাচের আগে পামারকে হারিয়ে এবং শুরুতেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর। তারা শান্ত ও দৃঢ় ছিল এবং তাদের যে মান (ফুটিয়ে তুলেছে) তাতে তাদেরকে বড় একটা দল মনে হচ্ছে, যারা এই মৌসুমে শিরোপার জন্য লড়বে।”
“রক্ষণে তাদের কোনো সমস্যাই হয়নি এবং সবখানেই দ্যুতিময় পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। মাঠে তারা ছিল চমৎকার ও আগ্রাসী…মাঝমাঠে (মোইসে) কাইসেও তো ছিল যেন এক দানব এবং সব মিলিয়ে ম্যাচে দলটি ছিল দুর্দান্ত, অনেক বড় জয়।”
ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওন থেকে জুলাইয়ে চেলসিতে যোগ দিয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই নিজেকে নায়করূপে মেলে ধরেন জোয়াও পেদ্রো; ক্লাব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলই করেন তিনি। পরে ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার পথেও শেষ গোলটি করা এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এদিন ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষেও ছিলেন দুর্দান্ত।
পঞ্চদশ মিনিটে চেলসির জার্সিতে নিজের প্রথম লিগ গোলে সমতা টানেন পেদ্রো। এরপর নেত ও অধিনায়ক ফের্নান্দেসের লক্ষ্যভেদে ৩-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের মধ্যে চেলসির হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা কাইসেও ও ক্লাবের একাডেমি থেকে উঠে আসা চালোবাহ করেন বাকি দুই গোল।
পামারের জায়গায় একাদশে জায়গা করে নেওয়া ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার এস্তেভাও ৭৭তম মিনিটে উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দারুণ পারফরম্যান্সে আলো ছড়ান। নিখুঁত এক পাসে ফের্নান্দেসের গোলে রাখেন অবদান এবং নির্বাচিত হন ম্যাচ সেরা।
স্কোরলাইনে নাম লেখাতে না পারলেও, চেলসির ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে অ্যাসিস্ট করলেন এস্তেভাও।
দারুণ এই জয়ের পর এক রাতের জন্য হলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে চেলসি। দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪।
আরও পড়ুন