Advertisement

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

রোববার সকালে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

‘বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা : খসড়া বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ প্রণয়ন’ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক আদালত নেই। ফলে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক মামলা সাধারণ দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে। এতে দ্রুত ও কার্যকর বিচার ব্যাহত হচ্ছে, মামলার জট বাড়ছে এবং বিনিয়োগ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থ ঋণ আদালতেই ২৫ হাজারেরও বেশি মামলা অমীমাংসিত ছিল। এটি আমাদের বিচারকদের সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত, বরং এটি কাঠামোগত অসঙ্গতি।

প্রধান বিচারপতি জানান, বিশ্বের অনেক দেশ যেমন রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তান বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকেও সহায়তা করবে। তিনি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি স্তম্ভ তুলে ধরেন—স্পষ্ট এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন- ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিফান লিলার এবং সেমিনারের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ।

এছাড়া মার্কিন দূতাবাস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার ও চার জেলার বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .