Advertisement

সব পাথর কোয়ারিগুলো ইকো ট্যুরিজম করার নির্দেশ

কালবেলা

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

সিলেটের পাথর কোয়ারি। ছবি : সংগৃহীত
সিলেটের পাথর কোয়ারি। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের ৭টিসহ দেশের ১৭টি পাথর কোয়ারিকে পরিবেশবান্ধব টেকসই ইকো-ট্যুরিজম হিসেবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে হাইকোটর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার দায়েরকৃত জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন মামলায় বেলার পক্ষের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

তিনি বলেন, আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধ্বংসাত্মক পাথর উত্তোলন রোধে অবিলম্বে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসককে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি মহাপরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে কোথায় কোথায় পাথর উত্তোলন হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ দায়ীদের তালিকা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে সরাসরি আদালতে হাজির হয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সিলেট জেলার জাফলং, শাহ আরেফিন টিলা, ভোলাগঞ্জ, উৎমাছড়া, শ্রীপুর, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া এবং বান্দরবান জেলার ১০টি ঝিরি-ছড়া এলাকার পাথর কোয়ারি থেকে ধ্বংসাত্মক, ক্ষতিকর ও বিপজ্জনকভাবে পাথর উত্তোলন, আহরণ ও অপসারণকে অবৈধ, কর্তৃত্ববহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

এসব কোয়ারিকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা ও টেকসই ইকো-ট্যুরিজমে রূপান্তরের বিষয়ে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

মামলায় বেলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহা. এরশাদুল বারী খন্দকার।

সারা দেশে পাথর ও বালু তোলার জন্য নির্দিষ্ট ৫১টি কোয়ারি আছে। সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে আছে আটটি কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটের সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ আরও ১০টি জায়গায় পাথর-বালু আছে। এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি নদী থেকে এসব পাথর-বালু আসে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর আর পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি।

Lading . . .