Advertisement

সিলেটের নির্মাণাধীন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

যুগান্তর

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

তীব্র সমালোচনার মুখে আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর থেকে নির্মাণাধীন ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো জানান, বৈঠকে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি ঐতিহাসিক ঘড়িঘর থেকে সরিয়ে নতুন স্থানে স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা শহীদের স্মৃতিকে অমর রাখতে চাই, কিন্তু কোনো ঐতিহাসিক স্থাপনা আড়াল করা যাবে না।

বৈঠকে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পরিবেশকর্মী আবদুল করিম কিমসহ শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

আলী আমজদের ঘড়িঘরের সামনে ফলক নির্মাণ শুরুর পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। নাগরিক সমাজের অভিযোগ ছিল, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির সৌন্দর্য ও স্থাপত্যশৈলী আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনগুলো এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।

সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ চারজনকে স্মরণে আলাদা আলাদা স্থানে স্মৃতিফলক নির্মাণ চলছে। আলী আমজদের ঘড়িঘরের সামনে শহীদ পাবেল আহমদ কামরুল ও পঙ্কজ কুমার কর, কোর্ট পয়েন্টে সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাব এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের স্মরণে ফলক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ফলকের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৫ টাকা।

১৮৭৪ সালে নবাব আলী আহমদ খান নির্মিত এই ঐতিহাসিক ঘড়িঘর সিলেটের গৌরবের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

আরও পড়ুন

Lading . . .