ভাবির সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে সালিশ, স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫
-68a1d34f7a9ad.jpg)
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতের স্বামী মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
এর আগে শনিবার রাতে ভাবির সঙ্গে মুজিবুর রহমানের পরকীয়া নিয়ে সালিশ হয়।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের পূর্ব সুন্দরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই জিকরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই নিহতের স্বামী মুজিবুর রহমান, শ্বশুর রজব আলী, শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত ভাবিসহ দুই নারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন মুজিবুর রহমান। দেশে ফেরার পর থেকেই স্ত্রী রিমার (২৪) সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। শনিবার রাতে ভাবির সঙ্গে মুজিবুর রহমানের পরকীয়া নিয়ে গ্রামে সালিশ হয়। পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় তিনি অপমানিত বোধ করেন।
মৃতের চাচা কাউছার মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজি রিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপর নাটক সাজাতে মরদেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মৃতের মা সুফিয়া বেগমও একই অভিযোগ করে বলেন, মুজিবুর রহমানের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল তার ভাবির সঙ্গে। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে রিমা ও মুজিবুরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। আমার মেয়েকে নির্যাতন করে অবশেষে মেরে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, তিন বছর আগে খাজিরখিল গ্রামের সুন্দরপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রিমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।