Advertisement

‘৮৬ সালের নির্বাচনে এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল হাসিনা ও জামায়াত’

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ বলেছেন, এরশাদ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়েছিল, তখন হাসিনা সমর্থন দিয়েছিল। ৮৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা-জামায়াত এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া তখন আপস করেননি। এজন্য আমরা তাকে আপসহীন নেত্রী বলি। আমরা তাকে মায়ের আসনে বসিয়েছি। হাসিনার চক্রান্তের শিকার হয়ে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। তিনি নিজের গুণে, নিজের যোগ্যতায় মানুষের মনে থাকবেন। আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ বিএনপি বারবার সেখানে সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে থেকে দলকে এবং দলের মানুষকে রক্ষা করছেন। তারই নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আমরা জীবনবাজি রেখে রাজপথ দখলে রেখেছিলাম। তিনি যেদিন দেশে আসবেন সেদিন দেশে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে। ঝড়-বৃষ্টিসহ সব কিছু উপেক্ষা করে সারা দেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করতে ঢাকায় ছুটে যাবে।

রোববার দুপুর ২টায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিকে গউছ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি ছাড়া আজ জুড়ীতে সম্মেলন করছি। হাসিনা একেক সময় একেক কথা বলেছে। কখনো ২১ সাল কখনো ৪১ সাল; কিন্তু মানুষের জীবন যে ক্ষণস্থায়ী সেটা আওয়ামী লীগ বুঝে না। আমাদের দোয়া মাহফিলও করতে দেয়নি। আল্লাহর চোখ ফাঁকি দেয়া যায় না। তারা বলেছিল হাসিনা পালায় না। এমন পালানো পালাইছে হাসিনা পরিবারের একটি লোকও দেশে নাই।

পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে জিকে গউছ বলেন- পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ না, পুলিশ জনগণের সেবক। তারা আজকে রাষ্ট্রের পুলিশ হিসেবে কাজ করছে। এর আগে হাসিনার পুলিশ হিসেবে কাজ করত। হাসিনা পালানোর আগে অনেক থানার পুলিশ তাকে রেখে পালিয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন- বিএনপি বারবার জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। এখানে মানুষের অভাব নেই। হামলা, মামলা, খুন করেও বিএনপিকে আটকাতে পারেনি। তাই অন্য কোনো দলের লোককে আশ্রয় দেয়া যাবে না। ভুল করলে খেসারত দিতে হবে। মাঠের মানুষকে নেতা নির্বাচন করতে হবে এটা তারেক রহমানের কথা।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাকিম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মিজানুর রহমান মিজান, নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, এমএ মুকিত।

উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু, জেলা বিএনপির সদস্য বকসি মিছবাহুর রহমান, মতিন বকস, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদওয়ান খান।

Lading . . .