প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ হ্যাশট্যাগ চেনেন না এমন কোনো মানুষ নেই বোধহয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে কোনো পোস্ট করলেন সেই সঙ্গে ব্যবহার করেন অসংখ্য হ্যাশট্যাগ। এতে পোস্টটি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং রিচও বেশি হয়।
মূলত যে কোনো ইভেন্ট বা বিষয়কে একতাবদ্ধ করতে এর ব্যবহার। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)।
আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ। এটা একই ধরনের বক্তব্যকে একীভূত করে। কোনো শব্দের শুরুতেই হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) ব্যবহার করবেন তখন সেটি নীল বর্ণ ধারণ করবে। অর্থাৎ সেটা একটা লিংক-এ পরিণত হবে। পরবর্তীতে এই রিলেটেড সব স্ট্যাটাস বা ছবি যদি একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দেওয়া হয় তবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা সহজেই সব এক জায়গায় পাবেন। অর্থাৎ এটি সবার মতামত এক করার একটি উদ্যোগ।
তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হ্যাশট্যাগের শব্দ সমষ্টি কোনো স্পেস ছাড়া লিখতে হয়। এতে সংখ্যা থাকতে পারে। স্পেস থাকলে এটা লিংক তৈরি করতে পারে না। এমনকি দাড়ি, কমা বা ফুলস্টপের মতো কোনো যতি চিহ্ন ব্যবহার করা যায় না।
আজ আন্তর্জাতিক হ্যাশট্যাগ দিবস। যারা ২০০৭ সালের দিকে টুইটার ব্যবহার করেছেন তারা এই হ্যাশট্যাগের সঙ্গে আগেই পরিচিত। হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয় মূলত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। এই ধারণাটি তৈরি করেছিলেন স্বঘোষিত ‘হ্যাশ গডফাদার’, ক্রিস মেসিনা, একজন পণ্য ডিজাইনার যিনি টুইটার (বর্তমান এক্স) এর লোকেদের জন্য বিষয়গুলো অনুসন্ধান করা সহজ করে তুলতে চেয়েছিলেন।
২০১৩ সালের জুনে ফেসবুকেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন গুগলপ্লাসেও এর ব্যবহার দেখা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা এত বেড়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাশট্যাগ’ শব্দটি ২০১৪ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতেও জায়গা করে নেয়। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ কোটিরও বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি। ইদানীং অবশ্য এর বিভিন্ন ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল সিনেমার প্রচারেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। আবার কেউ কোনো বিষয়কে প্রাধান্য দিতেও একই কাজ করেন। কেউবা শুধুই নিজেদের ভেতর আড্ডার জন্যও এমনটা করতে পারেন।
হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেওয়া পোস্ট আপনাকে কেবল সম্ভাব্য লক্ষ্য বা টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনাকে নিয়ে যাবে তা-ই নয়। এটি বিপণন ক্ষেত্র এবং আপনার প্রতিদ্বন্দী সম্পর্কেও জানাবে। তাই নিজের যোগ করা হ্যাশট্যাগ দিয়েই খুঁজে দেখুন আপনার পণ্যের মতো পণ্য অন্য কেউ সরবরাহ করছে কি না।