প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫

স্মার্টওয়াচ আজকের দিনে শুধু সময় জানানোর যন্ত্র নয়, বরং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, নোটিফিকেশন, কল, মিউজিক কন্ট্রোলসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এই সব ফিচার ব্যবহার করার ফলে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়।
অনেক সময় ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন যে ঘন ঘন চার্জ দিতে হয়, যা ব্যবহার অভিজ্ঞতায় বিঘ্ন ঘটায়। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ব্যাটারির আয়ু ও চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা দুটোই বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আসুন কীভাবে ব্যবহার করলে এবং কোন বিষয়ে খেয়াল রাখলে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো যায় তা জেনে নেওয়া যাক-
প্রথম কাজটিই হচ্ছে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে বন্ধ রাখুন। অনেক স্মার্টওয়াচে স্ক্রিন সবসময় চালু থাকে। এটি বন্ধ করলে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়। ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুন। অটোমেটিক ব্রাইটনেস অন করে রাখলে আলো অনুযায়ী ডিসপ্লে নিজে থেকে মানিয়ে নেয়, এতে ব্যাটারি কম খরচ হয়। ওয়াচ ফেস বেছে নিন। অ্যানিমেটেড বা বেশি ডাটা দেখানো ওয়াচ ফেস ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে ফেলে। সাদামাটা ওয়াচ ফেস ব্যবহার করা ভালো।
ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস প্রয়োজন না হলে বন্ধ রাখুন। জিপিএস অনেক বেশি ব্যাটারি খরচ করে, তাই শুধু ট্র্যাকিংয়ের সময় চালু রাখুন। যদি ঘড়ি ফোনের কাছাকাছি থাকে, তাহলে ওয়াই-ফাই এর বদলে ব্লুটুথ ব্যবহার করলে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখলে ব্যাটারির চাপ কমে। শুধু দরকারি কল, মেসেজ বা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নোটিফিকেশন চালু রাখুন।
বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচে আলাদা ব্যাটারি সেভার মোড থাকে। এটি চালু করলে প্রসেসিং স্পিড কিছুটা কমলেও ব্যাটারি দীর্ঘসময় টিকে থাকে।
হার্ট রেট বা SpO2 যদি ২৪/৭ চালু থাকে, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়। চাইলে ম্যানুয়ালি পরিমাপ করুন বা নির্দিষ্ট ইন্টারভ্যালে সেট করুন। স্লিপ ট্র্যাকিং ব্যবহার না করলে এটি বন্ধ রাখা ভালো।
স্মার্টওয়াচ নির্মাতারা নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেটে ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট উন্নত করে। তাই আপডেট ইনস্টল করলে ব্যাটারি পারফরম্যান্স বাড়তে পারে।
ব্যাটারি একেবারে ০ শতাংশে নামিয়ে আনা এড়িয়ে চলুন। ২০-৮০ শতাংশের মধ্যে চার্জ রাখলে ব্যাটারির লাইফ সাইকেল দীর্ঘ হয়। অতিরিক্ত গরম জায়গায় চার্জ দেবেন না।
ভাইব্রেশন ইনটেন্সিটি কমান। বেশি ভাইব্রেশন ব্যাটারি খরচ বাড়ায়। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুন। কিছু স্মার্টওয়াচে একাধিক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে। এগুলো বন্ধ রাখুন। এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করুন। যেখানে নেটওয়ার্ক দরকার নেই (যেমন ঘুমের সময়), এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করলে ব্যাটারি টিকে যায়।
আরও পড়ুন