হোয়াটসঅ্যাপে যেভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতে হ্যাকাররা
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের প্রায় সব শহরেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন কয়েকশ কোটি মানুষ। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়নের বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয় হোয়াটসঅ্যাপে।
ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যাকাররাও নানানভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রাখে। প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্যামের খবর পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায়ে হ্যাকাররা প্রতারণা করতে পারে-
ব্যবহারকারীদের স্ক্যামাররা মেসেজ পাঠিয়ে বলে যে, লটারি জিতেছেন সেই ব্যবহারকারী। অথবা একটি উপহার জিতেছেন তারা। এর পরিবর্তে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং টাকা চায় স্ক্যামাররা।
ভুয়া সংস্থাগুলোর নাম করে চাকরির অফার দেওয়া হয় ব্যবহারকারীদের। পরে রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিংয়ের কথা বলে টাকা চাওয়া হয়।
কোনো কারণে ব্যবহারকারীর থেকে ওটিপি চায় স্ক্যামাররা। আর একবার ওটিপি শেয়ার করলেই ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তারা।
ব্যবহারকারীর কোনো বন্ধু অথবা আত্মীয়ের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে টাকা দাবি করে স্ক্যামাররা।
স্ক্যামাররা এক্ষেত্রে সাধারণত ব্যবহারকারীদের ফোনে লিঙ্ক পাঠায়। যেগুলো দেখে একদম আসল মনে হয়। কিন্তু একবার ক্লিক করলেই সব তথ্য চুরি করে নেয় তারা।
স্ক্যামার প্রথমে বন্ধুত্ব করে। তারপর আবেগ-অনুভূতির কথা বলতে থাকে। এরপর ফাঁদ পেতে সাহায্য প্রার্থনা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
স্ক্যাম থেকে সুরক্ষিত থাকতে ব্যবহারকারীরা যা করতে পারেন-
>> কারও সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করবেন না। এমনকি নিজের বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গেও নয়।
>> অজানা নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। সে অফারই হোক কিংবা উপহারের প্রলোভনই থাক, তা সত্ত্বেও ক্লিক করা উচিত নয়।
>> হোয়াটসঅ্যাপে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করতে হবে। এটা অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়াবে।
>> কাউকে টাকা পাঠানোর আগে কল করে কনফার্ম করতে হবে। বিশেষ করে জরুরিকালীন বা আকস্মিক পরিস্থিতিতে তো বটেই!
>> ভুয়া চাকরি অথবা লটারির মতো অফার উড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ভালো কোম্পানি কখনো হোয়াটসঅ্যাপে চাকরির অফার দেয় না।
>> অজানা গ্রুপে জয়েন করা চলবে না। আর এমনিতে কোনো অজানা গ্রুপে অ্যাড করা হলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেয়।
>> যদি সন্দেহজনক মেসেজ আসে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপের রিপোর্ট এবং ব্লক ফিচার ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন
সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০