প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। ইউটিউবের অনেক ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়। নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে মিলিয়ন ভিউ হলে চ্যানেলের মালিক কত টাকা পান। ইউটিউবে কনটেন্ট বানিয়ে আয় করেন অনেকেই। মাসে লাখ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ আছে এখানে।
তবে আয় করতে আগে ইউটিউবের শর্ত পূরণ করা জরুরি। মূলত কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭- ২ হাজার ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।
আসল কথা হচ্ছে একেক জন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের আয় একেক রকম। ১ মিলিয়ন ভিউ হলে সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কত আয় হবে তা নির্ভর করবে তার চ্যানেলের পূর্ববর্তী হিস্ট্রির উপর। অর্থাৎ মনিটাইজেশন, বিজ্ঞাপন, চ্যানেলে কোনো স্ট্রাইক আছে কি না, কন্টেন্টের ওয়াচ সংখ্যা ইত্যাদি। তবে ইউটিউবে ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) ভিউ থেকে সাধারণত ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ডলার (প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা) আয় করা যায়।
তবে ইউটিউবে যে ভিউ হয় এজন্য ইউটিউব কিন্তু বেশি টাকা দেয় না। মঊলত বিজ্ঞাপন, প্রোমোশন এবং অন্যান্য আরও জায়গা থেকে আয় হয়। আসলে ইউটিউবের ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত উপার্জন করা যাবে, তা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিপিএম। অ্যাডভার্টাইজিং রেট প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন-ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ক্লিক-থ্রু রেট বা সিটিআর। ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলোর উপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। সিটিআর যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে। সিপিএম এবং সিটিআর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে সিপিএম এবং সিটিআর বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।
ভিডিওর বিষয়বস্তুও কিন্তু বড় ভূমিকা রাখে। আসলে কিছু বিশেষ বিষয়ের (যেমন, প্রযুক্তি, অর্থ, ইত্যাদি) ভিডিওগুলো বেশি আয় করতে পারে, কারণ এগুলোতে বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি অর্থ দিতে ইচ্ছুক থাকে। ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো কিছু বিষয়ের উচ্চতর সিপিএম এবং সিটিআর থাকে। যার ফলে আয়ও হয় বেশি। ভিডিওগুলো যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে এবং আয়ও বেশি হবে। এই ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন বেশি আয় করতে চাইলে।
সূত্র: লাইভমিন্ট, এয়ার মিডিয়া টেক