চোখের এসব সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আমেরিকান একাডেমি অব অফথ্যালমোলজির মতে, রাতে গাড়ি চালানোর সময় একজন ব্যক্তি তাঁর দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সবচেয়ে ভালোভাবে অনুভব করেন। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে থাকলে তা দূরে তাকানোর সময় কিংবা কম আলোতে দেখার সময় বোঝা যায়।
এ ধরনের সমস্যা অনেক সময় কেবল চশমাতেই সমাধান হয়ে যায়। কখনো আবার ছানির মতো রোগও এর জন্য দায়ী হয়ে থাকে। কারণ যেটিই হোক, তা দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
কনজাংটিভাইটিসে চোখ লাল হয়ে যায়, যাকে আমরা চোখ ওঠা বলে থাকি। অ্যালার্জিতেও লাল হয় চোখ। গ্লুকোমা নামের আরেকটি রোগেও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। সাধারণভাবে বলা যায়, গ্লুকোমা হলো চোখের প্রেশার বেড়ে যাওয়ার রোগ।
অবশ্য এই ধরনের গ্লুকোমা তুলনামূলক বিরল, যেখানে চোখ লাল হয়ে যায়। তবু অবহেলা না করাই ভালো।
চোখের ভেতরকার বিভিন্ন অংশের প্রদাহের কারণে আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারেন। আবার চোখের সমস্যা ছাড়াও মাইগ্রেন, ভাইরাস সংক্রমণ এবং অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কারণ যেটিই হোক, বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। চোখের কোনো অংশে প্রদাহ হয়ে থাকলে চিকিৎসা প্রয়োজন অতিসত্বর।
ঘোলাটে দৃষ্টির কারণ হতে পারে চোখের সমস্যা কিংবা স্নায়বিক সমস্যা। ঘোলাটে দৃষ্টি নিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা। তাই চিকিৎসায় দেরি করবেন না।
চোখে কিছু পড়লে, আঘাত লাগলে, সংক্রমণ হলে, প্রদাহ হলে বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হলে চোখে ব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার কারণেও চোখে ব্যথা হতে পারে।
চোখে তীব্র ব্যথা, ঘোলাটে দৃষ্টি, মাথাব্যথা, বমিভাব, বমি হতে পারে এক বিশেষ ধরনের গ্লুকোমার লক্ষণ। এর নাম অ্যাকিউট অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা। এটি একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা না করালে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই দৃষ্টি হারাতে পারেন যে কেউ।
অনেক কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে। চোখসংক্রান্ত কিছু সমস্যাতেও মাথাব্যথা হয়। তাই বারবার মাথাব্যথা হলে এবং সেটির অন্য কারণ জানা না থাকলে চোখের চিকিৎসক দেখিয়ে নেওয়া ভালো।
চোখের সামনে হালকা কিছু দাগের মতো ভেসে যাওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে হঠাৎ চোখের সামনে আলোর ঝলকানি বা ছায়া দেখা কিংবা অনেক বেশি পরিমাণ ছাইরঙা বা কালচে দাগ দেখতে পাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। রেটিনার মারাত্মক সমস্যায় এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ড্রপ বা কৃত্রিম চোখের পানির ড্রপ ব্যবহার করে চোখের শুষ্কতা মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে এই ড্রপ ব্যবহারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুষ্কভাব না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আমাদের চোখ স্বাভাবিকভাবেই একটু ভেজা থাকে। তবে চোখ থেকে অতিরিক্ত পানি পড়াটা অস্বাভাবিক। এ সমস্যার চিকিৎসা প্রয়োজন।
এমন লক্ষণের জন্য চোখের সমস্যা ছাড়াও দায়ী হতে পারে স্নায়বিক সমস্যা। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নিন এমন সমস্যায়।
ডিজিটাল স্ক্রিন ব্যবহারের সব নিয়ম মেনে চলা সত্ত্বেও যদি স্ক্রিনের দিকে তাকাতে অস্বস্তি হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চোখের অন্য কোনো সমস্যার কারণেও এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
সূত্র: দ্য হেলদি