Advertisement

ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ ও লিভার ডিটক্সে প্রতিদিনের তিনটি অভ্যাস

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

ফ্যাটি লিভার একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের কারণে হয়ছবি: পেক্সেলস
ফ্যাটি লিভার একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের কারণে হয়ছবি: পেক্সেলস

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।

ভাত, ডাল, শাকসবজি—এ ধরনের সহজপাচ্য খাবার খাওয়া।

খাবারে অতিরিক্ত ঝাল, তেল ও মসলা ব্যবহার না করা।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী খাবারে ব্যবহার না করা।

রাতে দেরিতে খাবার না খাওয়া।

খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে না পড়া।

প্রতিদিন খাবারে কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন হলুদ। তবে বাজারে বা চটকদার বিজ্ঞাপনে অনেক রকমের ভেষজ ব্যবহারের কথা প্রচার করে, সেসব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়।

প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। হালকা হাঁটা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। হালকা হাঁটার পাশাপাশি স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। মেডিটেশন করা যেতে পারে, মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা উচিত, তবে তা হতে হবে সঠিক সময়ে। অনেকে দেরিতে ঘুমিয়ে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমান। সেটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

ওজন কমাতে হবে।

চিনি, কোমলপানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

লিভারের জন্য উপকারী কিছু খাবার, যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, পালংশাক, ব্ল্যাক কফি, লেবু–পানি খাওয়া যেতে পারে।

ডিটক্স পানি বানিয়ে খান।

মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।

এসব অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে ফ্যাটি লিভারসহ আরও অনেক ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে আগে থেকেই কোনো লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।

Lading . . .