প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের যেসব উপসর্গ দেখা দেয় ত্বকে
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ জন্ডিস। এই জন্ডিসের ক্ষেত্রে চোখ, ত্বক ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যেতে পারে; ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে মলের রং। খাওয়ার রুচি হারিয়ে যেতে পারে, কোনো ধরনের চেষ্টা ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে ওজন।
এ ছাড়া পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। খাবার খেলে এই ব্যথা বাড়ে। সামনের দিকে উবু হয়ে বসলে ব্যথা কিছুটা কমে।
তবে এর বাইরেও ত্বকে দেখা যেতে পারে নানান রকম উপসর্গ।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের জন্ডিসের ধরনটা এমন, যেখানে ত্বক কেবল হলুদই হয়ে যায় না, সঙ্গে বেশ চুলকানিও হয়। কোনো র্যাশ বা ফুসকুড়ি ছাড়াই এমন চুলকানি হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্বকের নিচের শিরা ফুলে উঠতে দেখা যায়। লালচে হয়ে ওঠে ওই শিরার ওপরের ত্বক। ব্যথাও থাকে বেশ।
তবে এসব উপসর্গ আবার একটানা দীর্ঘদিন থাকে না, মাঝেমধ্যে দেখা যায়। আর বিভিন্ন সময় আক্রান্ত হতে পারে দেহের বিভিন্ন শিরা।
বড় আকারের ফোসকাজাতীয় ক্ষত দেখা দিতে পারে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে। এটি দেখতে অবশ্য সাধারণ ফোসকার মতো নয়। ত্বকের বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে উঁচু হয়ে থাকা ক্ষতস্থানে সৃষ্টি হয় এই ফোসকা, যা সহজে সারে না।
বরং ওই জায়গা থেকে চামড়া উঠে আসে, সামান্য তরল নিঃসরণও হতে পারে ক্ষতস্থান থেকে। জ্বালাপোড়া ধরনের ব্যথাও হয়।
বগল, কুঁচকি বা গলায় কালচে মখমলের মতো দাগ দেখা দিতে পারে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে। ত্বকের কিছু অংশ আলাদাভাবে পুরু এবং উঁচু হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে। চুলকানিও থাকতে পারে।
ত্বকের যেকোনো জায়গায় অস্বাভাবিক গোটা বা উঁচু জায়গা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নানান কারণে এ ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ত্বকে। এসব জায়গায় সাধারণত বেশ ব্যথা হয়ে থাকে।
কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বকে লেইসের নকশার মতো দাগ দেখা দেয়। ত্বকের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে কিছুটা গাঢ় রঙের হয়ে থাকে এমন দাগ। রংটা হয় কিছুটা বেগুনি (পার্পল) ধাঁচের।
এসব উপসর্গের কেবল একটি থাকলেই আতঙ্কিত হবেন না। নানান কারণেই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া মাত্র কয়েকটি উপসর্গ থেকেও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
তবে এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হলে নিরাময়ের সম্ভাবনা বাড়ে।