প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তিন বছর আগে কাঠমান্ডুতে তীক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বছরে দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ, প্রীতি ম্যাচে হেরেছিল ৩-১ গোলে। তিন বছর পর আবার সেই কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার।
কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে ভুলতে যাওয়া জয় ফিরিয়ে আনতে চান ক্যাবরেরা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেই তিনি ঢাকায় ফিরতে চান। দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে সোমবার কোচ জানিয়েছেন, তিনি নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ড্র করতে পেরে খুশি এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতেই সিরিজ শেষ করতে চান।
‘প্রথম ম্যাচটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমি এমনটিই চেয়েছিলাম। যেমন প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম হংকং ম্যাচের জন্য, তেমনই হয়েছে। আরেকটি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নিশ্চিতভাবেই এটি একটি খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে। প্রথম ম্যাচটি ড্র করেছি, দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে চাই। জিতলে অক্টোবরের জন্য আমাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে। আগের মতো এ ম্যাচেও পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। আমরা জয়ের জন্যই নামব। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আগামীকাল জিততে'- বলেছেন ক্যাাবরেরা।
দশরথের মাঠ নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগ। ফিফা ও এফসির দৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা খেলার উপযুক্ত নয়। বাংলাদেশ খেলতে রাজি হয়েছে বলে সেখানে ম্যাচ দুটির আয়োজন। মাঠ নিয়ে ক্যাবরেরা বলেছেন, ‘আমরা জানতাম মাঠের অবস্থা ভালো হবে না এবং এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। মাঠ ভারী। ঘাস বড়। পানি দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এমন মাঠে খেলাটা কঠিন। খেলা স্লো হয়ে যায়। আমরা এমন জানতাম বলেই কোনো অজুহাত নেই। নেপালও একই পরিস্থিতিতে খেলেছে।’
জিততে না পারলেও দলের উন্নতিতে খুশি ক্যাবরেরা, ‘আমি এই দলের উন্নতিতে ভীষণ খুশি ও গর্বিত। চার বছরের প্রক্রিয়ার ফল। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোচ্ছে। গোলরক্ষক সুজন ভালো খেলেছেন। সে অনেক দিন ধরে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। সহজ ছিল না তার জন্য। কারণ মিতুল এবং শ্রাবণের ভালো করছে। পরিস্থিতির কারণে সে গত ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিল। ক্যাম্পে খুব ভালো করেছে নতুন গোলরক্ষক কোচের অধীনে। জানতাম সে পুরোপুরি প্রস্তুত। তার পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না এবং চমৎকার খেলেছে। ক্লিন শিটও পেয়েছে। তাই আমি তার জন্য খুশি, কারণ সে এই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য ছিল।’
আরও পড়ুন