Advertisement

টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়; কোচের কাছে ‘নরমাল, ‘শিক্ষণীয়’

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

ইয়েমেনের বিপক্ষে হারের পরই বাংলাদেশের এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ছিল সময়ের অপেক্ষা। ঘন্টা দু’য়েক পর স্বাগতিক ভিয়েতনাম ১-০ গোলে সিঙ্গাপুরকে হারায়। এতে ভিয়েতনাম ও ইয়েমেন দুই দলের ৬ পয়েন্ট হয়। ফলে এক ম্যাচ আগেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের বিদায়।

বাংলাদেশ কখনো এএফসি অ-২৩ চ্যাম্পিয়নশীপের মূল পর্বে খেলেনি। এবার অনেক আশা ছিল চূড়ান্ত পর্বে খেলার। বাহরাইনে দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি, দু’টি প্রীতি ম্যাচ; কিউবা, জায়ান, ফাহমিদুলের মতো প্রবাসীর পাশাপাশি মোরসালিন, আল আমিন, শ্রাবণদের মতো জাতীয় দলে খেলা অভিজ্ঞ ফুটবলাররাও ছিলেন। এত সম্ভাবনা ও আশার অপমৃত্যু ঘটেছে টানা দুই হারে।

আজ ইয়েমেনের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ হাসান আল মামুন এসেছিলেন। তিনি ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে জনির লাল কার্ডকে সামনে এনেছেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি লাল কার্ড পেয়ে আমরা পিছিয়ে যাই। খেলোয়াড় সংখ্যা কম থাকায় এটা আক্রমণে প্রভাব পড়ে।’

বাংলাদেশ ভিয়েতনামে এসেছিল চূড়ান্ত পর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে। এখন টানা দুই হারে সবার তলানিতে। এ নিয়ে কোচের মন্তব্য, ‘ইয়েমেন প্রথম ম্যাচে জিতেছি। আমরা ইয়েমেনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চটাই করেছি। ফুটবলে এমন দিন আসে যখন সব কিছু করার পরও শূন্য হাতে ফিরতে হয়। এটা ফুটবলে নরমাল বিষয়।’

বাংলাদেশ ছাড়ার সময় দলের অধিনায়ক শেখ মোরসালিন বলেছিলেন তারা প্রতিটি ম্যাচ জিততে চান। হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন এবার বাস্তবিকভাবেই ভালো সম্ভাবনা কোয়ালিফাই করার। দুই ম্যাচ হেরে কোচ হাসান আল মামুন ভবিষ্যতের শিক্ষা খুঁজছেন।

তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনাম অবশ্যই শক্তিশালী। বাকি তিন দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এটা আমি প্রথম সম্মেলনেই বলেছি। রানার্স আপ হওয়ার জন্য খেলে টানা দুই ম্যাচ হারা অবশ্যই দুঃখজনক। আশা করি ফুটবলাররা শিখেছে। এটা শিক্ষা প্রক্রিয়ার অংশ যা তাদের ভবিষ্যতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাজে আসবে।’

এএফসি অ-২৩ দল মূলত গঠন, পরিকল্পনা সব কিছুই হয়েছে স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে। প্রো লাইসেন্স সনদ থাকায় সাইফুল বারী টিটু ছিলেন শুধু আনুষ্ঠানিকতায়। মূলত ক্যাবরেরার সহকারী হাসান আল মামুনই কাজ করেছেন। কাকতালীয়ভাবে, টিটুর অসুস্থতায় সেই মামুনই দাঁড়িয়েছেন ডাগ আউটে। কিন্তু টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় বাংলাদেশের।

এজেড/এএল

Lading . . .