ডায়মন্ড হারবারকে ৫ গোল, গ্রুপ শীর্ষে থেকে ডুরান্ডের কোয়ার্টারে মোহনবাগান
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

দুরন্ত ফর্মে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করল মোহনবাগান। সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ডায়মন্ড হারবার এফসির বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জয় পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে বি গ্রুপের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। হোসে মোলিনার ছেলেদের সংগ্রহ ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট।
চোটের জন্য এই ম্যাচে ছিলেন না একাধিক তারকা ফুটবলার। তবুও জয় পেতে সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের। নতুন মরশুমে প্রথম ম্যাচে নেমেই স্কোরশিটে নাম তুললেন দুই অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার জেসন কামিংস ও জেমি ম্যাকলারেন। বাকি তিনটি গোল অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো এবং সাহাল আব্দুল সামাদের।
কলকাতার চার দলের মধ্যে প্রথম ক্লাব হিসেবে এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।
মোহনবাগান বনাম ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের প্রথমার্ধ
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে খেলা শুরু করে দুই দল। ১৮ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার গোলে লিড নেয় মোহনবাগান। সাহালের নো লুক পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বাঁক খাওয়ানো শটে ফিনিশ করেন তিনি।
তবে ৬ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান ডায়মন্ড হারবারের লুকা মাজসেন। এর পরে আক্রমণের চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। ৩৫ মিনিটে আসে গোল। ফের দুরন্ত পাস বাড়ান সাহাল। গোলকিপারকে কাটিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন জেমি ম্যাকলারেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১ গোলে।
A post shared by Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg)
মোহনবাগান বনাম ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাকলারেনের জায়গায় মাঠে নামেন জেসন কামিংস। ৪৯ মিনিটে কোলাসোকে ফাউল করে বসেন ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্ডার নরেশ। লাল কার্ড দেখেন তিনি। এর পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্স। পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোল করেন লিস্টন কোলাসো।
QUARTER-FINAL BECKONS 😍 #MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/SfqHOPvGDv
৬৫ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পান সাহাল। বারবার আক্রমণ শানালেও গোল পাচ্ছিলেন না শুরু থেকে। এ বার কামিংসের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে গোল করলেন। ৮০ মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি করেন জেসন কামিংস।
ম্যাচে মোট ১২টি শট নেয় মোহনবাগান, এর মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে। নজর কাড়েন মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার পাসাং দর্জি তামাংও। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রইল ডায়মন্ড হারবার। এখনও সুযোগ আছে শেষ আটে যাওয়ার।