Advertisement

চাপে পড়ে সোজা হলেন স্টেগেন, ফিরে পেলেন অধিনায়কত্ব

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বার্সেলোনার সঙ্গে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের এক মাসের বেশি সময় ধরে শীতল যুদ্ধ চলছিল। দুই পক্ষের মাঝে তিক্ততা এতটাই বেড়েছিল যে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে চাচ্ছিল কাতালান ক্লাবটি। এমনকি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে কেড়ে নেওয়া হয় তার নেতৃত্বও। তবে একদিনের ব্যবধানে দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটিয়ে নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছেন এই জার্মান গোলরক্ষক।

সম্প্রতি পিঠের চোট থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করান টের স্টেগেন। লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ফুটবলার অন্তত চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেলে মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যন্ত তার পারিশ্রমিকের একটি বড় অংশ (৫০ থেকে ৮০ শতাংশ) ছাড় পাবে ক্লাব। যা নতুন ফুটবলার নিবন্ধনে সহায়তা করবে।

গত মৌসুমেও চোটের কারণে দীর্ঘসময় বাইরে ছিলেন স্টেগেন। তার অনুপস্থিতিতে নিয়মিত গোলরক্ষক হয়ে ওঠেন ভয়চেক সেজনি। দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে তার সঙ্গে নতুন চুক্তিও করে বার্সা। একই সঙ্গে দলে ভেড়ায় আরেক গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়াকে। ধারণা করা হয়, তখন থেকেই অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে থাকেন স্টেগেন। তাকে এই মৌসুমে বিক্রি করতে চেয়েছিল বার্সা।

কিন্তু টের স্টেগেনকে বিক্রির ক্ষেত্রে বাধ সাধে চোট। যা তাকে লম্বা সময় বাইরে রাখবে বলে মনে করছে বার্সা। তাই নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের সহায়তায় স্টেগেনের চিকিৎসা বিষয়ক নথিপত্র লা লিগার কাছে পাঠাতে চেয়েছিল তারা। শুরুতে অবশ্য সেই তথ্য দিতে রাজি ছিলেন না স্টেগেন। যে কারণে বার্সা বৃহস্পতিবার তার নেতৃত্ব কেড়ে নেয়।

এরপরই অবশ্য টনক নড়ে স্টেগেনের। তার সঙ্গে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে এক বিবৃতিতে বার্সা বলেছে, ‘টের স্টেগেনের অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট লা লিগার কাছে পাঠাতে তার যে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তাতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের তাই এখানেই সমাপ্তি এবং এই মুহূর্ত থেকেই তিনি আবার মূল দলের অধিনায়ক।’

স্টেগেনের দাবি, তিনি ৩ মাসের মধ্যেই সেরে উঠবেন- ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় আমাকে নিয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছে, সেগুলোর কিছু কিছু পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। এজন্য আমার মনে হয়েছে, আমার কথাগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন সম্মানজনকভাবে, কিন্তু পরিষ্কার করে। আমি এটাও পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, ক্লাবের নতুন ফুটবলার আনা ও পুরোনোদের চুক্তি নবায়নের ব্যাপারগুলো আমার অস্ত্রোপচারের আগেই চূড়ান্ত হয়ে যায়।’

এএল

Lading . . .