Advertisement

সবুজ মেরুনের ভক্ত হয়েও ইউনাইটেডের সুপার ফ্যান

এই সময়

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইউনাইটেডের ম্যাচে সায়নী দাস,Ei Samay,
ইউনাইটেডের ম্যাচে সায়নী দাস,Ei Samay,

অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

ইস্টবেঙ্গল মাঠে দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কাঁদছেন বছর ২১ এর একটি যুবতী। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন অনেকে। আচমকা দেখলে মনে হতে পারে, ম্যাচ হেরে কলকাতা লিগ হাতছাড়া হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কোনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তা নয়। অবাক করার মতো ঘটনা হলো, এই যুবতী কাঁদছিলেন তাঁর প্রিয় টিম ইউনাইটেড স্পোর্টস হেরে যাওয়ায়! আসলে সায়নী দাস যে ইউনাইটেডের সুপার ফ্যান!

বিশ্ব ক্রিকেট হোক বা ফুটবল, যে কোনও খেলাতেই টিমের প্রতি ভালোবাসা থেকে একাধিক সুপার ফ্যান রয়েছেন। প্রিয় টিমের জন্য তাঁদের আবেগ সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

কিন্তু সায়নীর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসার কারণ, তথাকথিত মোহনবাগান–ইস্টবেঙ্গল বা মহামেডান নয়, সায়নীর কান্না–হাসি–ভালোবাসায় জড়িয়ে শ্যামনগরের ক্লাব ইউনাইটেড। যদিও সায়নীর ত্রিবেণীর বাড়ি পুরোপুরি মোহনবাগান–ময়। বাবা–কাকাদের সঙ্গে সায়নীর হৃদয়ের রংও সবুজ মেরুন। মাঠে গিয়ে খেলাও দেখেছেন মোহনবাগানের।

United Sports Club

তার পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত? সদ্য স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণের চাকরি পাওয়া ‘ব্ল্যাকবেল্ট’ সায়নীর উত্তর, ‘আমি সত্যিই মোহনবাগানের সমর্থক ছিলাম। কিন্তু কোভিডের সময় থেকে ফেসবুকে ইউনাইটেডের নানা কাজ দেখতে শুরু করি। নবাব কাকু (ভট্টাচার্য) যে ভাবে নিজের চেষ্টায় বাংলার একটা টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, সেটা দেখেও খুব ভালো লাগত। তার পরে সব কিছু স্বাভাবিক হতে আমি ইউনাইটেডের প্র্যাক্টিসে যেতে শুরু করি। ফুটবলারদের সঙ্গে আলাপ হয়। তার পরে ওদের খেলা দেখতে চলে যেতাম। অধিকাংশ সময়েই বাড়িতে না বলে। এই ভাবে কখন যে ইউনাইটেড আমার হৃদয় জুড়ে ফেলেছে, নিজেই বুঝতে পারিনি।’

হেসে জুড়ে দিলেন, ‘তবে মোহনবাগানের সঙ্গে ইউনাইটেডের খেলা হলে যে কী করব, জানি না। তবে যাই হোক, আমি ইউনাইটেডের পাশেই থাকব সব সময়ে।’

United Sports Club

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচের আগের দিনে মিষ্টি নিয়ে ইউনাইটেডের প্র্যাক্টিসে হাজির হয়েছিলেন সায়নী। আর ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও রেফারির বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।

সে যাই হোক না কেন, ইউনাইটেড স্পোর্টসের জন্য এক যুবতী কাঁদছেন, হাসছেন, এটাই তো বাংলার ফুটবলে সেরা বিজ্ঞাপন।

Lading . . .