ম্যাচের আগেই শিরোনামে, কিবুকে বিশেষ সম্মান, বিশাল টিফোয় নজর কাড়ল ডায়মন্ড হারবার এফসি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ভারতীয় ফুটবলে টিফো বা বিশালাকার ব্যানারের মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। আর ফুটবল মাঠ বরাবরই হয়ে উঠেছে বার্তা দেওয়ার মঞ্চ। ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে প্রথম টিফো কালচার শুরু হয় ভারতীয় ফুটবলে। পরে মোহনবাগান, মহামেডানও বিভিন্ন ম্যাচে নজর কেড়েছে একাধিক আকর্ষণীয় টিফোর মাধ্যমে।
এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল ডায়মন্ড হারবার এফসির। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নেমেছে কলকাতার এই দল। প্রথম ডুরান্ড জয়ের হাতছানি তাদের সামনে। সেই উদ্দেশ্যেই এ বার গ্যালারিতে বিশাল টিফো ঝোলালেন DHFC সমর্থকরা।
আগেই জানানো হয়েছিল DHFC নেভিগেটর্স নামে একটি ডায়মন্ড হারবারের একটি ফ্যান ক্লাব উপস্থিত থাকবে মাঠে। প্রধানত ডায়মন্ড হারবারের এলাকাবাসীরাই তৈরি করেছে এই ফ্যান ক্লাব। প্রায় ৪০০ জন ছেলে–মেয়ে এই ফ্যান ক্লাবের সদস্য। গ্যালারিতে ১০০ ফুট বাই ৫০ ফুটের বিশাল টিফো নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।
টিফোতে একটি বাঘের ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘ডুরান্ডে ডায়মন্ড হারবার, ময়দানে বেঙ্গল টাইগার।’ আর একটি টিফোয় বিশেষ সম্মান জানানো হয় কোচ কিবু বিকুনিয়াকে। সেখানে লেখা ছিল, ‘বাংলা-ট্রফি-কিবুর ম্যাজিক বন্ড, হোক সে আইলিগ বা হোক ডুরান্ড’।
অন্য দু’টি টিফোয় লেখা ছিল, ‘অভিষেকেই বাজিমাত’ এবং ‘ডুরান্ডের ময়দানে ডায়মন্ড লড়ছে’। এছাড়াও মেগাফোনের মাধ্যমে ফ্যানেরা ম্যাচ চলাকালীন চ্যান্টিং করতে চান। ড্রাম নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে।
সংখ্যায় কম হলেও নজর কাড়লেন নর্থইস্টের সমর্থকরাও। তাঁরাও টিফো নিয়ে হাজির হয়েছেন যুবভারতী স্টেডিয়ামে। এর আগে ডুরান্ড কাপে টিফোর মাধ্যমে নজর কেড়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। বাংলা ভাষা নিয়ে চলা বিতর্কের প্রতিবাদ করেছিল তারা টিফোর মাধ্যমে। তাছাড়া ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের টিফো নিয়ে জোর চর্চা চলে দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে।
ম্যাচ শুরুর আগে আর্মির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গানের তালে ও নাচের মাধ্যমে নজর কাড়েন অংশগ্রহণকারীরা।