Advertisement

আফঈদাদের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে রোববার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

আফঈদাদের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে রোববার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া
আফঈদাদের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে রোববার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া

লাওসে যেদিন নারী এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা শুরু হয়েছে তার আগে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের র‌্যাংকিংয়ে পার্থক্য ছিল ১০৭। দুই দিন আগে ঘোষিত র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক উন্নতি করায় সেই ব্যবধান কমে এখন ৮৩। বাংলাদেশ ১০৪, দক্ষিণ কোরিয়া ২১।

'এইচ' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় দাবিদার ধরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকেই। তবে দুই ম্যাচ শেষে সেই কোরিয়াকে পেছনে ফেলে গ্রুপ লিড করছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের জন্য বড় এক অর্জন। তবে আরো বড় অর্জনের হাতছানি এখন আফঈদা খন্দকারদের সামনে। তার নেতৃত্বে আরেকটি ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

সেখানে বাধা এখন ৮৩ ধাপ সামনে থাকা দক্ষিণ কোরিয়া। রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া। দুই দলেরই পয়েন্ট ও গোলগড় সমান। একটি গোল বেশি দেওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আছে শীর্ষে।

এই একটি গোল বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করে লাল-সবুজরে নামটি লিখে দিতে পারে আরেকটি ইতিহাসের অধ্যায়। সিনিয়র নারী দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অনূর্ধ্ব-২০ দলের দিকে এখন তাকিয়ে সবাই।

রোববার বিকেলে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ড্র করতে পারলেই খুলে যাবে স্বপ্নের দুয়ার। ২০২৫ সালটি তখন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তির বছর হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সবার হিসাব ছিল লাওস ও পূর্ব তিমুরকে হারিয়ে কোরিয়ার কাছে কম গোলের ব্যবধানে হারলে বাংলাদেশর সামনে তিন সেরা রানার্সআপ দলের একটি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই বাংলাদেশ এখন সেরা রানার্সআপের তালিকায় থেকে নয়, এশিয়ান কাপে খেলতে চায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই। এজন্য রোববার দরকার মাত্র একটি পয়েন্ট।

খেলা হচ্ছে ৮ গ্রুপে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত সব নাটকীয়তা টিকে আছে। ১২ দল এরই মধ্যে বাদ পড়ে গেছে। তাদের জন্য রোববারের শেষ ম্যাচ শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাকি দলগুলোর ভাগ্য ঝুলে আছে মিহি সূতোয়। কারো সম্ভাবনা একটু ভালো, কারো একটু কম-সমীকরণ এতটুকুই যা। ১২ দলের বিদায় নিশ্চিত হলেও একটি দলেরও চূড়ান্ত পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়নি স্বাগতিক থাইল্যান্ড বাদে।

রোববার ১৬টি দলের ম্যাচ আছে ৮ ভেন্যুতে। এই ৮ ম্যাচ নির্ধারণ করবে ১১ দলের ভাগ্য। কালই মিলবে কোন ৮ দল গ্রুপসেরা হয়ে থাইল্যান্ড যাবে এবং কোন তিন দল যাবে সেরা রানার্সআপের তালিকায় থেকে।

Lading . . .